প্রতিনিধি:-
২০১১ সালে যাত্রা শুরু হয়েছিল, তারপর ২০২১ এ এসে তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, গতবছর ঠিক আজকের দিনেই পশ্চিমবঙ্গের মানুষের বাঁধভাঙা সমর্থণের ভোট নিয়ে ক্ষমতায় ফিরেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের তৃতীয়বার রাজ্য জয়ের বর্ষপূর্তিতে ফেসবুকে আবেগপ্রবণ লেখা লিখছেন ঘাষফুলের নেতানেত্রীরা।সোমবার সেরকমই একটি ফেসবুক পোস্টে কুণাল ঘোষ লেখেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০৩৬ পর্যন্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন, তারপর তাঁর গাইডেন্সে মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নেবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।সোমবারের ফেসবুক পোস্টে কুণাল লিখেছেন,
‘তৃণমূল কংগ্রেসের এক সৈনিক হিসেবে বলতে পারি, ২০৩৬ সাল পর্যন্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন মমতাদি। আর সেই ২০৩৬সালে তিনি অভিভাবকের মত উপস্থিত থাকবেন এমন অনুষ্ঠানে, যেখানে মুখ্যমন্ত্রীর পদে শপথ নেবেন অভিষেক। মুখ্যমন্ত্রিত্বে জ্যোতি বসুর রেকর্ড ভেঙে ভারতে নজির গড়বেন মমতাদি।
তবে তার মধ্যে যদি দিল্লির এবং দেশের দায়িত্ব নিতে হয়, তাহলে পরিস্থিতি আরেকরকম তো হবেই।’এদিন নিজের ফেসবুক পোস্টের একেবারেই শুরুতে কুণাল লেখেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেসের তৃতীয়বারের সরকারের জয়ের প্রথম বর্ষপূর্তির শুভেচ্ছা। এক,মনে রাখুন, বিজেপির শীর্ষনেতাদের ডেইলি প্যাসেঞ্জারি, সব নখ দাঁত বার করা আক্রমণ, চার আনার বিজেপি কর্মীদের বারো আনা ঔদ্ধত্য, অসভ্যতাকে হারিয়ে জয়।
দুই, মনে রাখুন, সিপিএম, কংগ্রেসকে শূন্যে নামিয়ে দিয়ে জয়।
তিন, মনে রাখুন, কিছু সুবিধেবাদীর হঠাত্ তৃণমূল ছাড়ার বিশ্বাসঘাতকতা ও হুজুগের বিরুদ্ধে জয়।
চার, মনে রাখুন, দিদির নেতৃত্বে এবং অভিষেকের সেনাপতিত্বে তৃণমূল কর্মীদের জেদের আর আনুগত্যের লড়াইতে জয়।’সোমবার ফেসবুক পোস্টে কুণাল লিখেছেন, ‘বাংলার মানুষ তৃণমূলকে ভালোবাসেন। বিরোধীদের প্রত্যাখ্যান করেন। আমাদের দলের মধ্যে থেকেই কোনো ভুলে ওদের হাত শক্ত হতে দেবেন না। সতর্ক থাকতে হবে সকলকে
আরও মনে রাখুন, ফেসবুক, টুইটার একদিন বন্ধ থাকলে বিরোধী দলগুলো উঠে যাবে। ওদের সংগঠন, জনসংযোগ নেই। মিডিয়ার একাংশ আর সোশ্যাল মিডিয়াই ভরসা ওরা গোষ্ঠীবাজিতে দীর্ণ। দেউলিয়া রাজনীতির খাঁচায় আটকে।তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আমাদের দল বড় হচ্ছে, হবে। কিন্তু আমাদের পা পড়ুক এমনভাবে, যে বড় হওয়ার স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়ার সুফল দল পাবে, কিন্তু মেদজনিত নেতিবাচকতা থেকে সতর্ক থাকতেই হবে। পুরনোরা সময়ের সঙ্গে নতুনের পদধ্বনিকে স্বাগত জানাতেই হবে, আমরা ছিলাম বলে আর কেউ আসবে না, তা হয় নাকি? আবার নতুনরা পুরনোরা ভিত গড়ে না দিলে আজকের মঞ্চটাই থাকত না।’