প্রতিনিধি:-
কিষেণজির মৃত্যুর বদলা চাই,সাদা কাগজে লাল কালিতে লেখা সেই হুমকি চিঠি আবার ফিরতে শুরু করেছে জঙ্গল মহলে। মাওনেতা কিষেণজির মৃত্যুর বদলা নিতে খেলা হবে স্লোগান মাওবাদীদের পোস্টারে। টিএমসি নেতাদের সঙ্গে খেলা হবে। পোস্টারে লিখে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বাঁকুড়ার সারেঙ্গার পথে ঘাটে। গত কয়েক দিন ধরে ফের মাওবাদীদের সক্রিয়তা আঁচ করা যাচ্ছে জঙ্গল মহলে।ল্যান্ড মাইন থেকে শুরু করে দফায় দফায় পোস্টার পাওয়া যাচ্ছে। রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছিল জঙ্গলমহলে।তৃণমূল কংগ্রেসের জনপ্রিয় স্লোগান খেলা হবে এবার মাওবাদীদের পোস্টারে। বাঁকুড়ার সারেঙ্গায় আজ একাধিক মাও পোস্টার দেখা গিয়েছে। তাতে লেখা রয়েছে খেলা হবে স্লোগান। তাতে সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাকর্মীদের রীতিমত হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। কিষেণজির হত্যার বদলা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মাওবাদী পোস্টারে। এবার জঙ্গলমহলের টিএমসি নেতাদের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মাওবাদীরা। আগে টার্গেট ছিল সিপিএম নেতারা।খেলা হবে স্লোগান একুশের ভোটের আগে জনপ্রিয় করে তুলেছিল তৃণমূল কংগ্রেসই। একুশের ভোটের আগে শোরগোল ফেলে দিয়েছিল। খেলা হবে স্লোগান পৌঁছে গিয়েছে গোটা দেশে। উত্তর প্রদেশ থেকে গোয়া সর্বত্র পৌঁছে গিয়েেছ খেলা হবে স্লোগান। উত্তর প্রদেশে সমাজবাদী পার্টি বিজেপিকে হারাতে খেলা হবে স্লোগান দিয়েছিল। এই নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল রাজনৈতিক মহলে।ফের জঙ্গলমহলে সক্রিয় হয়ে উঠছে মাওবাদীরা। গত কয়েক মাস ধরে জঙ্গলমহলে ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে মাওবাদীরা। পোস্টার থেকে ল্যান্ড মাইন উদ্ধার একের পর এক ঘটনায় টনক নড়েছে জেলা প্রশাসনের। রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকে জঙ্গলমহল এলাকায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সব থানাকে সতর্ক করে হাইঅ্যালার্ট করা হয়েছে। কয়েকদিন আগেই মাওবাদীরা বনধ ডেকেছিল জঙ্গলমহলে। তাতে ভাল বনধ হয়েছে। বিনপুর, ঝাড়গ্রাম, শিলদা, বেলদা সহ একাধিক জায়গায় বনধ ডেকেছিল তারা,তাতে বনধ সর্বাত্মক হয়েছে। তাতেই আরও টনক নড়েছে রাজ্য সরকারের।জঙ্গলমহলে মাওবাদী গতিবিধি নজর এড়ায়নি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এই নিয়ে ফের নবান্নে জরুরি বৈঠক ডাকলেন তিনি। তাতে জঙ্গলমহলের নিরাপত্তা নিয়ে রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং জেলা শাসকদের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানা গিয়েছে। জঙ্গলমহলের একাধিক জেলার টিএমসি নেতা এবং বিধায়করা জেলা পুলিশ সুপারের কোছ নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন জানিয়েছেন। এবার তাঁদের টার্গেট করা হবে বলে প্রাণ নাশের আশঙ্কায় ভুগছেন টিএমসি নেতা-বিধায়করা।