পেট্রোল-ডিজেলের দাম সহ একাধিক ইস্যুতে ফের একবার সরব মমতা বন্নোপাধ্যায়। পাশাপাশি আগামিদিনে জ্বালানির দাম আরও বাড়বে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।শুধু তাই নয়, মাঝ পথে পড়াশুনা ছেড়ে ইউক্রেন থেকে চলে আসা পড়ুয়াদের জন্যে সরকার কিছু করেনি বলেও দাবি তাঁর। তবে মানবিক সরকার এই সমস্ত পড়ুয়াদের পাশে আছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।আজ বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। সেখানেই একাধিক বিষয়ে কথা বলেন। যার মধ্যে ইউক্রেন ফেরত পড়ুয়াদের বাংলায় পড়াশুনার ব্যবস্থ করার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।অন্যদিকে ফের একবার পেট্রোল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে সরব হন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। তাঁর দাবি, আগামিদিনে আরও বাড়বে জ্বালানির দাম। আর তার দায় ঝেড়ে ফেলতেই রাজ্যের উপর দায় কেন্দ্র চাপাচ্ছে বলেও দাবি মুখ্যমন্ত্রীর। শুধু তাই নয়, করোনা নিয়ে বৈঠকের কথা কেন্দ্র জানালেও এজেন্ডা অন্য কিছু ছিল বলে দাবি তাঁর। মানুষের পকেট কেন্দ্র কাটছে বলেও মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন।
তবে মুখ্যমন্ত্রী এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দেন, রান্নার গ্যাসের দাম অবিলম্বে ৩০০ টাকা কমানো উচিত। শুধু তাই নয়, পেট্রোল-ডিজেলের দামও কমানো উচিৎ বলেও জানিয়ে দেন তিনি।তবে মুখ্যমন্ত্রীর এহেন দাবি নিয়ে শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক বিতর্ক। এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা শমিক ভট্টাচার্য বলেন, বাংলা চূড়ান্ত একটা অর্থনৈতিক ধ্বংসের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকার নানা ভাবে মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করছে। কিন্তু রাজ্য সরকার কেন্দ্রের পাশে না থেকে সমালোচনা করছে বলেও দাবি বিজেপি নেতার।অন্যদিকে আগামীকাল শুক্রবার দিল্লি উড়ে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই অবস্থায় তাঁর দিল্লি সফর যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। তবে মুখ্যমন্ত্রী’র এই সফরে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে দেখা হবে কিনা তা নিয়ে একটা জল্পনা তৈরি হয়। যদিও এই প্রসঙ্গে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, সময় কম, তাই এই সফরে কারোর সঙ্গেই দেখা হচ্ছে না তাঁর।