প্রতিনিধি:-
দমদমের বর্ষীয়াণ তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায়ের বিরুদ্ধে একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগ উঠেছে। তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে পারে তৃণমূল কংগ্রেসের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি। ইতিমধ্যেই নাকি তোরজোর শুরু হয়ে গিয়েছে, এই নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। সৌগত রায়ের মত একজন বর্ষিয়ান সাংসদ একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য দল ভাল ভাবে নেয়নি। সেকারণেই তাঁকে একাধিকবার তাঁকে সতর্ক করা হয়েছে। যদিও সৌগত রায় নিজে দাবি করেছেন তিনি কোনও রকম চিঠি পাননি এবং এই বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।
সৌগত রায়ের বিতর্কিত মন্তব্য
সৌগত রায় দলের বিরুদ্ধে এমনকী নেত্রীর বিরুদ্ধেও প্রকাশ্যে একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। হাঁসখালি গণধর্ষণ কাণ্ড নিয়ে বলতে গিয়ে একটি সভায় সৌগত রায় বলেন, মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর শাসনে একটি ধর্ষণের ঘটনাও লজ্জাজনক। স্বাভাবিক ভাবেই দলের নেত্রীর বিরুদ্ধে এই ধরনের মন্তব্য তাও আবার প্রকাশ্যে একেবারেই যে ভালভাবে নেয়নি দল সেটা বোঝাই গিয়েছিল। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য হাঁসখালি গণধর্ষণ ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য করেছিলেন একে রেপ বলবেন না প্রেগন্যান্ট বলবেন, নাকি লাভ অ্যাফেয়ার বলবেন , ঘটনার পাঁচ দিন পরে কেন অভিযোগ দায়ের হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
তবে শুধু হাঁসখালির ঘটনা নয়, একাধিক বার প্রকাশ্যে দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন তিনি। পুরভোটে সংবাদ মাধ্যমের উপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন তিনি এবং প্রকাশ্যেই বলেছিলেন এটা ঠিক হচ্ছে না। মানুষ দলকে বিশ্বাস করবে না। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য তাঁর এলাকাতেই পুরভোটে আক্রান্ত হয়েছিলেন একাধিক সংবাদ মাধ্যমের কর্মীরা তার পরেই শাসক দলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন বিরোধীরা। এই নিয়ে সৌগত রায়কে সতর্কও করেছিল দল কিন্তু তার পরেও প্রকাশ্যে দলের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন তিনি।গতকালই সৌগত রায়ের এলাকায় সিন্ডিকেট রাজ নিয়ে গুলি চলার ঘটনা ঘটেছে। তারপরেই দমদমে সিন্ডিকেট রাজ নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরা। সৌগত রায় নিজেও এই নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন বারণ করলেও কথা শোনেনা তারা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য পুরসভা ভোটের সময় মদন মিত্রের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অভিযোগ করেছিলেন তিনি। তাই নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল শাসক দলের অন্দরেও। বারবার প্রতিবাদের জন্য মুখ খোলায় তাহার বিরুদ্ধে দল কড়া পদক্ষেপ নিতেই পারে।।