প্রতিনিধি, মুক্তিযোদ্ধাঃ- বেহালার পরে এবার লেকগার্ডেন্সে সিন্ডিকেট দৌরাত্ম, যা তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের বাড়ির খুব কাছেই। দুপক্ষের মারামারিতে ধারালো অস্ত্রের কোপে আহত হয়েছেন ৮ জন। এই ধরনের ঘটনা কাম্য নয় বলেই জানিয়েছেন বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা।পুরনো একটি বাড়ি ভাঙা নিয়ে দুপক্ষের গণ্ডগোলে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ৮ জন আহত হয়েছেন। ঘটনাটি তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের লেক গার্ডেন্সের পাড়াতেই।
চেঁচামেচির শুনতেই তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে সেখানে যান। সৌগত রায় নিজেই জানিয়েছেন, সেই সময় গণ্ডগোল অনেকটাই থেমে গিয়েছে।সৌগত রায় বিষয়টি নিয়ে থানার ওসির সঙ্গে কথা বলেন। এরপর তিনি এলাকার প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর রতন দের সঙ্গেও কথা বলেন।সৌগত রায় বলেছেন, এসব জিনিস হওয়ার নয়, এই ধরনের ঘটনা কাম্য নয় বলেও জানিয়েছেন তিনি। ঘটনাটি দুপক্ষের বখড়া নিয়ে গণ্ডগোলের জের বলে নিজেই জানিয়েছেন সৌগত রায়। তিনি আরও জানিয়েছেন, ওসিকে তিনি বলেছেন, প্রয়োজন মনে করলে ওই বাড়ি ভাঙা যেন বন্ধ করে দেওয়া হয়। তিনি বলেছেন, সেখানে অনেক পুরনো বাড়ি রয়েছে অনেক বয়স্ক মানুষের বাস,ফলে কোনও গণ্ডগোল হলে এইসব বয়স্ক মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।গত মঙ্গলবার রাতে বেহালায় ১২১ নম্বর ওয়ার্ডের চড়কতলায় সংঘর্ষে বোমা-গুলি চলে বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দাদের বড় অংশের অভিযোগ সিন্ডিকেট চক্রে এলাকা কার দখলে থাকবে তা নিয়েই গণ্ডগোল। বেশ কয়েকজন সাধারণ মানুষের বাড়ির জানালা ভাঙা হয়, পুলিশের উপস্থিতিতেই হামলা চলে বলে অভিযোগ। তবে অভিযোগ ওঠার পরেই স্থানীয় যুব তৃণমূল নেতা সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। ঘটনাক পাঁচ দিন পরে তাঁকে হাওড়া থেকে গ্রেফতার করা হয়,সাম্প্রতিক সময়ে সৌগত রায়ের মন্তব্য সবার নজর কেড়েছে। দক্ষিণেশ্বরে থানার উদ্বোধনে গিয়ে তিনি বলেন, যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মহিলা, সেই রাজ্যে নারী নির্যাতনের একটি ঘটনাও লজ্জার। তিনি বলেন, সকলেই মহিলাদের ওপরে অত্যাচারের ঘটনায় চিন্তিত। হাঁসখালির পাশাপাশি দেগঙ্গা, ইংরেজ বাজারে গণধর্ষণ এবং মৃত্যুর ঘটনায় তিনি এই মন্তব্য করেন। নারী নির্যাতন বন্ধে তিনি জিরো টলারেন্সের কথা বলেন।দিন দুয়েক আগে সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, সংসদে তিনি কোনও পদে নেই। লোকসভাতেই তিনি দলের নেতা নন, তিনি কোনও কমিটির চেয়ারম্যানও নন। দলের প্রতিনিধি হিসেবে কখনও বিদেশে ঘুরতেও যাননি। এমন কী রাষ্ট্রপুঞ্জে দলের অন্য কাউকে পাঠানো হলেও, তাঁকে পাঠানো হয়নি।