প্রতিনিধি:-
১৯-এ হাফ ২১ শে সাফ’, বাংলায় শাসকদলের বিরুদ্ধে ডাক দেয় বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। যদিও ২২ এর বিধানসভায় মুখ থুবড়ে পড়ে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। এরপরে আর মাথা তুলতে পারছে না বিজেপি। গোষ্ঠী কোন্দল থেকে সংঘাত ক্রমশ প্রকট হয়ে ওঠে দলের মধ্যে। এমনকি নেতৃত্ব নিয়েও প্রশ্ন উঠছে দলের মধ্যে আর এর মধ্যেই বালিগঞ্জ এবং আসানসোল উপনির্বাচনেও বড় ধাক্কা সুকান্ত-শুভেন্দুদের। তৃণমূলের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারলেন না বিজেপির প্রার্থীরা। আর এই ফলাফল সামনে আসার পরেই কার্যত বোমা বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ’য়ের। ছাড়লেন না রাজ্য নেতৃত্বকেও।দুই উপনির্বাচনে বিজেপির ভরাডুবির পরেই এক সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ। সেখানে বলেন, অপরিণত রাজ্য নেতাদের নেতৃত্বে ভাল ফল আশা করা যায় না। এমনকি ওই সমস্ত নেতাদের জন্যেই উপনির্বাচনের ফলাফলে এই হাল বলে দাবি সৌমিত্র খাঁয়ের। শুধু তাই নয়, তৃণমূলের থেকে বিজেপির অনেক কিছু শেখার আছে বলেও মন্তব্য তাঁর। শুধু ত্যাই নয়, শাসকদলের বিরুদ্ধে লড়াইয়েও বিজেপি ব্যর্থ হয়েছে বলেও কার্যত বোমা ফাটালেন বিজেপি নেতা। এই বিষয়ে অবিলম্বে রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে ভাবা দরকার বলেও মনে করেন তিনি। সৌমিত্রের মতে, সামনেই ২৪ এর লড়াই আছে ফলে এখন থেকেই ময়দানে নামার কথা বলেন তিনি। একই সঙ্গে যাদের বহিস্কার করা হয়েছে তাঁদের দ্রুত ফেরানো উচিৎ বলেও মন্তব্য বিজেপি সাংসদের। যা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে,বলে রাখা প্রয়োজন আসানসোল হাতছাড়া হওয়ার পরেই দলের সংগঠনকেই দায়ি করেছেন অগ্নিমিত্রা পাল। সন্ত্রাস থাকলেও নিজেদের জায়গাটাও ভেবে দেখার বার্তা কার্যত শোনা গিয়েছে বিজেপি বিধায়কের গলায়। তবে এই ফলাফল ২৪ এ হবে না বলে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার দাবি করলেও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন অগ্নিমিত্রাও। তাঁর দাবি, ২৪ এর লক্ষ্যে এখন থেকেই ঝাঁপিয়ে পড়া উচিৎ। আর এহেন বার্তার পরেই তবে সৌমিত্র খাঁ-য়ের এহেন বোমায় নিঃসন্দেহে বঙ্গ বিজেপিতে অস্বস্তি বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।উল্লেখ্য বিধানসভা নির্বাচনের পরেই একের পর এক উপনির্বাচনে বড় ধাক্কা খেয়েছে বঙ্গ বিজেপি। এমনকি কলকাতা পুরসভা সহ অন্যান্য পুরসভা ভোটেও বিজেপি তিন নম্বরে নেমে গিয়েছে। এই অবস্থায় দুই কেন্দ্রের ভোট, যা বঙ্গ বিজেপির কাছে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। সেখানেও এত বড় ধাক্কা আর এরপরেই দলের মধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে সঠিক গাড়ি চালানোর ড্রাইভারের এখনো অভাব যা বার বার ডুবিয়ে দিচ্ছে।।