প্রতিনিধি:-
গতকালই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তার ২৪ ঘণ্টা পেরোতে না পেরোতেই প্রকাশ্যে এল ঝালদা কাণ্ডের চাঞ্চল্যকর অডিও ক্লিপ। তাতে স্পষ্ট শোনা যাচ্ছে তপন কান্দুকে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার জন্য বাধ্য করা হচ্ছে। তারপরেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে অডিও ক্লিপ প্রকাশ্যে আনলেন তপন কান্দুর পরিবার। তাতে কংগ্রেস কাউন্সিলরকে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দিতে শোনা গিয়েছে। তাতে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অমল কান্দুর কণ্ঠ শোনা গিয়েছে। অমল কান্দু তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দিতে শোনা গিয়েছে। তপন কান্দুকে রীতিমত হুমকি দেওয়া হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদানের জন্য। বলা হয়েছে ‘তৃণমূলে তো তোকে আসতেই হবে’। ফোনে হুমকি দেওয়া হয়েছে তপন কান্দুকে। তাঁকে যে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল সেকথা স্বীকার করে নিয়েছেন অমল কান্দু।বগটুই কাণ্ডের সিবিআই তদন্তের পরেই ঝালদায় তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনে সিবিআই তদন্তের দাবি করা হয়েছিল। পরিবারের পক্ষ থেকে রাজ্য পুলিশের তদন্তে বারবারই অনাস্থা প্রকাশ করা হয়েছিল। তাঁরা দাবি করেছিলেন সিবিআই তদন্ত করা হোক। শেষ পর্যন্ত সেটাই দিল কলকাতা হাইকোর্ট। গতকাল কলকাতা হাইকোর্ট তপন কান্দু হত্যাকাণ্ডের সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। সেই সঙ্গে রাজ্য পুলিশকে এই ঘটনার যাবতীয় তথ্য প্রমাণ সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ৪৫ দিনের মধ্যে তপন কান্দুর হত্যাকাণ্ডের তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।গতকাল তপন কান্দুর হত্যাকাণ্ডের সিবিআই তদন্তের নির্দেশ শোনার পরেই আদালত চত্ত্বরে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন কংগ্রেস কাউন্সিলরের স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু। তিনি জানিয়েছিলেন এবার সিবিআই হয়েছে দোষীরা সাজা পাবেন। আইসি গ্রেফতার হবেন ।আইসির নির্দেশে তপন কান্দুকে হত্যা করা হয়েছে বলে তাঁর স্ত্রী বারবার দাবি করেছেন। তিনি দোষীদের ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন। প্রথম থেকেই তপন কান্দু হত্যাকাণ্ডে পুলিশের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছিল। যদিও রবিবার দিনেই ঝালদা থানার আইসিকে ক্লিনচিট দিয়েছেন পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার।পুরভোটের পরেই ঝালদা নিয়ে তুমুল অশান্তি তৈরি হয়েছিল কারণ ঝালদায় ত্রিশঙ্কু বোর্ড তৈরি হয়েছিল। সেই বোর্ডের গঠন নিয়েই চলছিল টানাপোড়েন। তারপরেই হঠাৎ করে খুন হন কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু তাঁকে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল বলে পরিবারের পক্ষ থেেক বারবার দাবি করা হয়েছে। আইসির মদতেই তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা তপন কান্দুর উপর চাপ তৈরি করছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল।