প্রতিনিধি:-
বীরভূমের ঘটনা সামনে আসার পর তৃণৃমূল নেতাদের দুর্নীতির পাহাড় ফের একবার সামনে এসেছে। তার আগে থেকেই অবশ্য গরুপাচার, কয়লা কেলেঙ্কারি-সহ নানা অভিযোগ উঠছিল তৃণমূলের নেতা-নেত্রীদের বিরুদ্ধে। তারও আগে সারদা-রোজভ্যালি বা নারদ তো ছিলই। এবার তৃণমূলের নেতাদের দুর্নীতি নিয়ে স্লোগান তুললেন শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল নেতাদের দুর্নীতিকে সামনে এনে কটাক্ষের সুর তুলেছেন। শাসকদলকে কটাক্ষ করে শুভেন্দু স্লোগান দেন, ‘চোর ধরো, জেলে ভরো’। এদিন তিনি নিশানা করেন অনুব্রত মণ্ডলকে। চোর ধরো জেলে ভরোর কথা বলে তিনি নিজেই স্পষ্ট করে দেন কাকে জেলে ঢোকানোর কথা বলছেন তিনি।শুভেন্দু বলেন, যিনি এতদিন চড়াম-চড়াম, গুড়-বাতাসার কথা বলতে, আজ তাঁকে অক্সিজেন সাপোর্টে থাকতে হচ্ছে। সময় এসেছে একে একতে সবাইকেই শ্রীঘরে ঢুকতে হবে। এখন চোর ধরা শুরু হয়েছে, সব চোর একে একে ভিতরে ঢুকবে। সব জেল ভরে যাবে। এদিন নন্দীগ্রামে বাসন্থী পুজোর উদ্বোধন করে শাসক দলকে কটাক্ষ করলেন শুভেন্দু অধিকারী।
উল্লেখ্য, টানা পঞ্চমবার সিবিআই হাজিরা এড়িয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। পঞ্চমবার সিবিআই ডাকার পর তিনি বীরভূম থেকে কলকাতা এসেও সিবিআই দফতরে যাননি। তিনি সটান ভর্তি হয়েছেন এসএসকেএম হাসপাতালে। এই পরিস্থিতিতে ঘুরিয়ে অনুব্রতকে চোর আখ্যা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, সিবিআই বগটুই-কাণ্ডে মুম্বই থেকে চারজনকে গ্রেফতার করেছে। চোর ধরা শুরু হয়ে গিয়েছে।শাসকদলকে কটাক্ষ করে শুভেন্দুর বার্তা, ভাদু শেখের খুনের ভারও সিবিআই নিয়েছে। স্বভাবতই আমি ভয়ানক খুশি। শাসক দলের নেতাদের বড় বড় অট্টালিকা রয়েছে, যা নিয়ে শুভেন্দু বলেছেন, সব নেতাদেরই জিজ্ঞাসাহাদ শুরু হয়েছে। নন্দীগ্রামের জাহাজ বাড়ির মালিকেরও নিস্তার নেই। সবাই সাবধান। সব চোর দিয়ে জেল ভরা হবেই। এদিন স্কুল সার্ভিস কমিশনের দুর্নীতি নিয়েও তোপ দেগেছেন শুভেন্দু অধিকারী।আর আজ তাঁর এই চোর ধরো জেল ভরো স্লোগান ই সারা বাংলায় নতুন মাত্রা নিয়েছে।।