প্রতিনিধি,মুক্তিযোদ্ধাঃ সিবিআইয়ের সক্রিয়তা ও নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরোর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে পড়েছে। শুক্রবার সেন্ট্রাল এজেন্সির একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করার সময় এ প্রসঙ্গে ভারতের প্রধান বিচারপতি এনভি রমনা বলেছেন, সিবিআইয়ের সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং জনসাধারণের বিশ্বাস পুনরুদ্ধার করতে হবে সিবিআইকে।প্রধান বিচারপতি বলেন, সিবিআইয়ের প্রথম পদক্ষেপ হবে রাজনৈতিক কার্যকর্তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে ফেলা। একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজেকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে। যাতে সিবিআই, এসএফআইও, ইডি, ইত্যাদির মতো বিভিন্ন সংস্থাকে এক ছাদের নীচে আনা যায় স্বাধীন সংস্থা হিসেবে, তাও বাঞ্ছনীয়৷ একটি আইনের অধীনে এই ছত্রছায়া তৈরি করা প্রয়োজন। সেখানে স্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করা থাকবে তাদের ক্ষমতা, তাদের কর্ম এবং এক্তিয়ার। এই ধরনের একটি আইন অনেক প্রয়োজনীয় তদারকি পরিচালিত করবে বলে তিনি মনে করেন।প্রধান বিচারপতি বলেন, সিবিআই একটি স্বাধীন এবং নিরপেক্ষ সংস্থা। সিবিআই-এর ডিরেক্টর নিয়োগকারী কমিটির অনুরূপ একটি কমিটি দ্বারা এর কার্যপরিচালনা করা উচিত। সংস্থার প্রধানকে বিভিন্ন ডোমেনে বিশেষজ্ঞদের দ্বারা সহায়তা করা যেতে পারে বলেও তিনি মনে করেন। মোট কথা তিনি চান সিবিআই একবারে স্বাধীনচেতা হয়ে কাজ করুব।গণতন্ত্ররক্ষায় তদন্তকারী সংস্থাগুলির ভূমিকা এবং দায়িত্ব’ শীর্ষক বক্তৃতায় বিচারপতি রমনা ব্রিটিশ আমল থেকে ভারতে পুলিশ ব্যবস্থা কীভাবে প্রসারিত হয়েছিল তা বর্ণনা করে বলেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সিবিআইকে জনসাধারণের তদন্তের আওতায় আনা হয়েছে। দুর্নীতি ইত্যাদির অভিযোগে পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়। প্রায়ই পুলিশ অফিসাররা আমাদের কাছে এসে বলেন যে, ক্ষমতার পরিবর্তনে তাদের হয়রানি করা হচ্ছে। কিন্তু আমি বলতে চাই, সময়ের সঙ্গে রাজনৈতিক কার্যকর্তা পরিবর্তন হবে। কিন্তু সিবিআই স্থায়ী। সিবিআই রয়ে যাবে। প্রধান বিচারপতি রমনার এই বক্তব্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।এ প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি স্বীকার করেন, পুলিশের মতো তদন্তকারী সংস্থাগুলো সাংবিধানিক সমর্থন না পাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পুলিশ ব্যবস্থা সংবিধান থেকে তার বৈধতা পায়। দুর্ভাগ্যবশত তদন্তকারী সংস্থাগুলি এখনও আইন দ্বারা পরিচালিত হওয়ার সুবিধা পায় না। তদন্তকারী সংস্থাকে যে সব অন্যান্য চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয় তাও উল্লেখ করেন প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, তাদের পরিকাঠামো, জনবল, আধুনিক যন্ত্রপাতি, প্রমাণ সংগ্রহের উপায়, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সঙ্গে অগ্রাধিকারের পরিবর্তন এবং কর্মকর্তাদের বারবার বদলির মুখে পড়তে হয়।