প্রতিনিধি:- রামপুরহাট-কাণ্ডে’র তদন্তে গতি বাড়াল সিবিআই। কয়েকদিন ধরে দফায় দফায় বগটুই গ্রামে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। এমনকি বেশ কয়েকজনকে ইতিমধ্যে জেরাও করা হয়েছে।
তবে এবার তল্লাশি অভিযানে নামলেন সিবিআই আধিকারিকরা। ঘটনায় বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে এফআইআর হলেও তাঁদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।ঘটনার পর থেকেই এলাকা ছাড়া। এই অবস্থায় অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশিতে নামল সিবিআই।
বগটুই গ্রামের বিভিন্ন জায়গাতে তল্লাশি চালানো হয় সিবিআইয়ের তরফে। বিশেষ করে ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত আলি শেখ, জাহাঙ্গীরের বাড়িতে তল্লাশিতে চান তদন্তকারীরা। ঘটনার পর থেকেই কোথায় তাঁরা, কি ফোন ব্যবহার করছেন সমস্ত বিষয়ে পরিবারের কাছ থেকে জানতে চান কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। প্রায় ঘন্টাখানেকেরও বেশি সময় ধরে এই তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। বেশ কয়েকটি টিমে ভাগ করে এই অভিযান চালানো হয়। তল্লাশিতে বেশ কিছু উদ্ধারও হয় বলে খবর।
অন্যদিকে সিবিআইয়ের নজরে একাধিক নিচুতলার কর্মী। জানা যাচ্ছে, দমকলের ২ অফিসারকে সিবিআই আজ ক্যাম্পে তলব করা হয়েছে। বগটুই গণহত্যাকাণ্ডে দমকলের কী ভূমিকা ছিল, তা জানতে তত্পর সিবিআই। ওই অফিসারদের বয়ান রেকর্ড করা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে বেশ কয়েকজন পুলিশ আধিকারিককেও জেরা করা হবে বলে খবর। ইতিমধ্যে রামপুরহাট থানার এসডিপিও এবং আইসিকে কয়েক ঘন্টা ধরে জেরা করেছে সিবিআই। যেখানে বেশ কিছু তথ্য সামনে এসেছে। যা খতিয়ে দেখা হচ্ছে সিবিআইয়ের তরফে।
অন্যদিকে রামপুরহাট-কাণ্ডে মৃত নাজিমা বিবি’র দেওয়া মৃত্যুকালীন জবানবন্দিই তদন্তের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। ভয়ঙ্কর আগুনে নাজিমা বিবির শরীরের বেশিরভাগ অংশই পুড়ে যায়। তাঁকে বাঁচানোর সব চেষ্টা করা হলেও শেষ রক্ষা হয়নি। কিন্তু মৃত্যুর আগে নাজিমা বিবি এমন কিছু তথ্য দিয়ে দিয়ে গিয়েছেন যা অভিযুক্তদের কঠিন সাজার সামনে দাঁড় করিয়ে দিতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট তদন্তকারীদের দাবি। মৃত্যুর ঠিক আগেই এই জবানবন্দি দিয়ে গিয়েছেন তিনি। আর তা চিকিত্সক, তাঁর স্বামীর সামনেই দিয়েছেন বলে খবর।
অন্যদিকে ঘটনার অন্যতম অভিযুক্ত আনামুলের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সিবিআই সুত্রের খবর, ঘটনার পরেই এই তৃণমূল নেতা প্রভাবশালী এক নেতাকে ফোন করেন। যিনি কিনা পেশায় আইনজীবী। কেন তাঁকে ফোন খতিয়ে দেখা হচ্ছে।