প্রতিনিধি:-
বীরভূমের রামপুরহাটের বগটুই হত্যাকাণ্ডে উড়ে গেল অনুব্রতর শর্ট সার্কিট তত্ত্ব। সিবিআই-এর এফআইআর-এ উঠে এল অন্য কথা। উল্লেখ্য রামপুরহাটকাণ্ডে তোলপাড় সারা বাংলা। ইতিমধ্যেই হাইকোর্টের নির্দেশে এদিন ঘটনাস্থলে গিয়েছে সিবিআই। রাজ্যের গঠন করা তদন্তকারী দল সিটের থেকে মামলার তদন্ত হস্তান্তর করে নিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এদিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শর্টসার্কিটের তত্ত্বকে খাঁড়া করেছিলেন বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। কিন্তু শর্ট সার্কিট থেকে একাধিক বাড়িতে কী করে আগুন লাগল, তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছিল। এবার সিবিআই-র এফআইআর-এ অনুব্রতর শর্ট সার্কিট তত্ত্বে পড়ল জল।
বগটুই হত্যাকাণ্ডে উড়ে গেল অনুব্রতর শর্ট সার্কিট তত্ত্ব, সিবিআইয়ের এফআইআর-র পরে কার্যত উড়ে গেলেও এবার উঠে এসেছে ধারালো প্রশ্ন। বীরভূম রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করার মতো নারকীয় ঘটনাকে শর্ট সার্কিট বলে চালানোর চেষ্টা করেছিলেন কি, বীরভমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মন্ডল। সিবিআই-র অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘প্রাথমিক তদন্তে দেখা গিয়েছে, ভাদু শেখের খুনের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য অন্তত ৭০ থেকে ৮০ জন কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। এর জেরে ৭ জনের মৃত্যু হয় এবং ৪ জন জখম হন। পরে ফটিক শেখের স্ত্রী মীনা বিবির মৃত্যু হয় হাসপাতালে।’ওয়াকিবহল মহলের মতে, প্রাথমিকভাবে এটাই জানা গিয়েছে, খুনের বদলা নিতে নারকীয় হত্যাকাণ্ড। কথা হচ্ছে যে বীরভূমে অনুব্রত তথা কেষ্টর নির্দেশ ছাড়া একটা পাতাও নড়ে না বলে চর্চা, সেখানে এতবড় অগ্নিকাণ্ড কী জানতেই পারেননি অনুব্রত মণ্ডল।উল্লেখ্য, শনিবার গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলতে পারে সিবিআই। ঘটনার প্রর্তাক্ষোদর্শীদের সঙ্গে সেই নামের তালিকা তৈরি করছে। রামপুরহাটকাণ্ডে যে ২২ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ, তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে সিবিআই। এমনকী নিজেদের হেফাজতেও নিতে পারে। ৩০ জনের সদস্য সিবিআই টিম রয়ছে তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে কাজ করছে রামপুরহাটকাণ্ড হত্যার তদন্ত প্রক্রিয়া।সূত্রের খবর, রামপুরহাট আধিকারিকদের সঙ্গে প্রায় একঘন্টা কথা বললেন সিবিআই আধিকারিকরা। এরপরেই থানা থেকে সকল নথি নেন তাঁরা। সেইসময় রামপুরহাট থানায় ছিলেন অখিলেশ সিংহ-সহ তাঁর দলবল। এদিন বগটুই গ্রামে এসে সোজা অগ্নিদগ্ধ বাড়িতে যায় সিবিআই। বাড়ির পিছনে কোলাপসিবল গেটও ভাঙার চেষ্টাও করা হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। সেটাও খতিয়ে দেখেন সিবিআই আধিকারিকরা। ওই বাড়ির ছাদের উপরেও উঠে পড়ে সিবিআই। কোথায় আগুন ধরানো হয়েছিল, কোথায় দেহগুলি বুঝেছিল সেগুলি বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করে তদন্তকারীর দল।