প্রতিনিধি:-
রামপুরহাটকাণ্ডে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে। এ বার তাদের নিজেদের মধ্যে শুরু হল কার্যত দায় ঠেলাঠেলি। সিবিআই সূত্রে খবর, তত্কালীন এসডিপিও(SDPO) এই ঘটনায় জেলার উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকদের দিকে কার্যত আঙুল তুলেছিলেন। এবার উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের তরফে পাল্টা দাবি করা হল, এসডিপিও(SDPO) তাঁদের সঠিক তথ্যই জানাননি।বীরভূমের রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডে কম্পালসারি ওয়েটিংয়ে পাঠানো হয়েছে তত্কালীন এসডিপিও(SDPO) সায়ন আহমেদকে। সাসপেন্ড করা হয়েছে রামপুরহাট থানার তত্কালীন আইসি ত্রিদীপ প্রামাণিককে। সমালোচনার মুখে বীরভূমের পুলিশ সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠীও। তৃণমূল নেতা ভাদু শেখ খুনের পর কীভাবে একের পর এক বাড়ি জ্বালানো হল? পুলিশ কি নিষ্ক্রিয় ছিল? থাকলে দায় কার? এই সব প্রশ্নের উত্তর এখনও মেলেনি।
তবে এরইমধ্যে রামপুরহাট কাণ্ড নিয়ে বীরভূম জেলা পুলিশের মধ্যেও দায় ঠেলাঠেলি শুরু হয়েছে বলে সূত্রের খবর। সোমবার সিবিআই-এর কাছে বয়ান রেকর্ডের সময়, তত্কালীন SDPO সায়ন আহমেদ যেসব দাবি করেছিলেন, এবার জেলার উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকরা তা নিয়ে পাল্টা মুখ খুললেন। সিবিআই সূত্রে দাবি, রামপুরহাটের অগ্নিকাণ্ডের সময়, বীরভূমের উচ্চপদস্থ পুলিশকর্তারা গেস্ট হাউসে বৈঠক করছিলেন। খবর পেয়েও তাঁরা কেউ বগটুই গ্রামে যাননি।
কিন্তু, জেলার উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকদের তরফে পাল্টা দাবি করা হয়েছে, তত্কালীন এসডিপিও(SDPO) এই ঘটনা সম্পর্কে তাঁদের সঠিক রিপোর্ট দেননি। ওই রাস্তা দিয়ে তল্লাশি অভিযান সেরে এসেও, তিনি বলেছিলেন, ছোটখাটো আগুন লেগে কয়েক জন আহত হয়েছেন। তাঁদের হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়া হয়ছে।
সিবিআই সূত্রে দাবি, তত্কালীন এসডিপিও(SDPO) সায়ন আহমেদ দাবি করেছিলেন, তিনি বগটুই গ্রামে গেলেও, এক উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক তাঁকে বাইরে ডেকে পাঠান। তারপর তাঁকে ও অন্যান্য আধিকারিকদের নিয়ে তিনি গেস্টহাউসে যান। সেখানে গভীর রাত অবধি তাঁদের বৈঠক চলে।
কিন্তু, জেলার উচ্চপদস্থ পুলিশ আধকারিকদের পাল্টা দাবি, এসডিপিও(SDPO)কে গ্রামের বাইরে ডাকা হয়নি। তিনি নিজেই গ্রাম থেকে বেরিয়ে আসেন। তারপর গভীর রাত অবধি কোনও বৈঠক হয়নি। সবাইকে দায়িত্ব বোঝাতে মাত্র কুড়ি-পঁচিশ মিনিটের একটা বৈঠক করা হয়।
এই ঘটনায় রামপুরহাট থানার তত্কালীন আইসি ও এসডিপিও’র সঙ্গে কথা বলেছে সিবিআই। আগামী দিনে কি জেলার অন্য উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকদেরও ডেকে পাঠানো হতে পারে বলে কথা চলছে।