প্রতিনিধি:-
দলবদলের আঘাত লাগল বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষের পরিবারেও। নয়াগ্রামের মলম অঞ্চলে তৃণমূলের এক সভায় ঘাসফুলের পতাকা হাতে তুলে নেন দিলীপ ঘোষের পিসতুতো দাদা । শুধু দিলীপ ঘোষের আত্মীয় নন, বিজেপি ছেড়ে বেশ কয়েকজন তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে এগিন এলাকায় মিছিলের পরে সভা করে তৃণমূল। সেই সভাতেই তৃণমূলে যোগদান পর্ব চলে। যার নেতৃত্বে ছিলেন তৃণমূলের জেলার সাধারণ সলম্পাদক সুমন সাহু। দিলীপ ঘোষের পিসতুতো দাদার নাম স্বদেশরঞ্জন কুইলা। তৃণমূলের সভায় তাঁর হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন নয়াগ্রামের বিধায়ক দুলাল মুর্মু।স্বদেশরঞ্জন কুইলা ছোট ঝড়িয়ার বাসিন্দা। তিনি বয়সে দিলীপ ঘোষের থেকে বড়। তিনি দাবি করেন, ১৯৯৬ সাল থেকে বিজেপি করেছেন। জেলা কমিটির সদস্য ছিলেন। এলাকার সবাই তৃণমূল করেন। গ্রামে থাকতে গেলে তৃণমূল করা দরকার বলেও মন্তব্য করেন তিনি।অন্যদিকে, দিলীপ ঘোষের নিজের ভাইও গোপীবল্লভপুর ২ ব্লকের বিজেপি নেতা। নাম হীরক ঘোষ। স্বদেশরঞ্জন কুইলার তৃণমূলে যোগদান সম্পর্কে তিনি বলেছেন, স্বদেশ কুইলা তাঁদের পিসির ছেলে। তবে ওঁর তৃণমূলে যাওয়ার খবর তাঁরা জানেন না বলে দাবি করেছেন।দিলীপ ঘোষ ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে মেদিনীপুর থেকে জয়ী হন। তাঁর আগে তিনি ছিলেন খড়গপুদের বিধায়ক। কিন্তু গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকে খড়গপুর এবং মেদিনীপুর বিজেপিতে ভাঙন লেগেই রয়েছে। সাংসদ প্রতিনিধি কমিটির সদস্য রাজদীপ গুহ, খড়গপুর উত্তর মণ্ডলের সভাপতি অজয় চট্টোপাধ্যায়, বিজেপির শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি শৈলেন্দ্র সিং ছাড়াও স্থানীয় বিজেপি নেতা সজল রায় তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। তারপরেও বিজেপি ছেড়েছিলেন, বিজেপির স্পোর্টস সেলের সম্পাদক, জেলা বিজেপি মহিলা নেত্রী এবং বিশিষ্ট আইনজীবীও বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। গত বছরের শেষের দিকে খড়গপুরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে প্রায় ১০০ জন বিজেপি কর্মী তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। তবে এইসব দলবদলকে আমল দিতে রাজি হননি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেছিলেন, খড়গপুরে পাগল ছাড়া কেউ তৃণমূলে যোগ দেবে না। দিলীপ ঘোষ কটাক্ষ করে বলেছিলেন, তৃণমূল একটা লোককে এখানে একবার ঝান্ডা ধরায় আরেকবার ত্রিপুরায় নিয়ে গিয়ে ঝান্ডা ধরায়। তিনি এলাকার মানুষের ওপরে ভরসা করেন বলে জানিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি।