প্রতিনিধি:-
পাহাড় সমস্যা সমাধানে কালিম্পঙে কনভেনশেনর ডাক দেওয়া হয়েছিল, সেই কনভেনশনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তকে। তারপরেই জল্পনা শুরু হয়েছিল বিমল গুরুংকে নিয়ে মনে হয় বিজেপিতে যোগ দেবেন। শেষ পর্যন্ত কালিম্পং কনভেনশনেই যোগ দিলেন না । তৃণমূল কংগ্রেসের চাপেই কি তিনি এই সিদ্ধান্ত নিলেন। এই নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে।মুখ্যমন্ত্রী পাহাড়ে যাওয়ার পরেই জিটিএ নির্বাচন নিয়ে তৎপর হয়েছিলেন। তিনি দাবি করেছিলেম এপ্রিল মাসেই দিনক্ষণ দেখে জিিটএ নির্বাচন করা হবে। কিন্তু তাতে প্রথম থেকেই প্রবল আপত্তি তোলেন বিমল গুরুং। তিনি দাবি করেছিলেন যে এভাবে পাহাড় সমস্যা সমাধান করা সম্ভব নয়। স্বায়ত্ব শাসন প্রয়োজন। তার পরেই কালিম্পংয়ে শনিবার কনভেনশনের ডাক দিয়েছিলেন তিনি। তাতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তকে। তাই নিয়ে তুমুল চাপান উতোর তৈরি হয়। বিমল গুরং বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন বলে জল্পনা শুরু হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কনভেনশনেই গেলেন না বিমল গুরুং,অনেকেই মনে করছেন চাপে পড়ে হয়তো নতি শিকার করেছেন বিমল গুরুং। কারণ পাহাড়ে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে বিমল গুরুংয়ের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। এমনকী দেশদ্রোহীতার আইনেও মামলা রয়েছে বিমল গুরুংয়ের বিরুদ্ধে। একুশের ভোেট আগে হঠাৎ করে কলকাতায় সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূল কংগ্রেসকে সমর্থন জানান তিনি। তারপরে পাহাড়ে ফিরে আসেন। একুশের ভোটে পাহাড়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে শক্তিশালী করে গড়ে তোলার কথা বলেছিলেন তিনি। ভোট মিটতেই ফের কি বিদ্রোহী হওয়ার সাহজ পাবেন তিনি। কারণ এখন পাহাড়ে তাঁর নিরাপদে থাকা সম্ভব হচ্ছে কেবল মাত্র তৃণমূল কংগ্রেসকে সমর্থন করার কারণেই।ইতিমধ্যেই পাহাড়ে জিটিএ নির্বাচন নিয়ে টানাপোড়েন শুরু হয়ে গিয়েছে। বিমল গুরুংকে সামনে রেখে ফের পাহাড়ে অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টায় রয়েছে বিজেপি। ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য করে গড়ে তোলার দাবি জানিয়েছেন একাধিক বিজেপি নেতা। হঠাৎ করে কনভেনশন ডেকে সেখানে উপস্থিত না থাকার কথা জানার পরেই কনভেনশনে যাবেন না বলে জািনয়েছেন বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তও।২০২৪-র লোকসভা ভোট এগিয়ে আসছে তার মধ্যেই পাহাড়ে ফের গোর্খাল্যান্ডের দাবি জেগে উঠেছে। বিমল গুরুং পাহাড়ে ফিরলেও প্রকাশ্যে সেভাবে গোর্খাল্যান্ডের দাবি জানাতে পারছেন না। কারণ তৃণমূলের বন্ধু হিসেবেই তিনি পাহাড়ে নিরাপদে রয়েছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রকাশ্যে বিরোধিতা করলে ফের তাঁকে জেলে যেতে হবে না হলে পালাতে হবে। তাই প্রকাশ্য বিজেপির সমর্থন করতে না পারলেও কোথাও যেন তৎপরতা শুরু হয়েছে তাতে কোনও সন্দেহ নেই।