মুক্তিযোদ্ধাঃ-
করোনা পরিস্থিতির মধ্যে গত দু’বছর ধরে দেশ তথা গোটা বিশ্বে কর্মসংস্থানের অভাব দেখা দিয়েছে। তবে এরই মাঝে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, কঠিন সময়েও রাজ্যে বেকারত্বের হার দেশে বেকারত্বের হারের চেয়ে কম। আর রাজ্য বাজেট পেশের আগে মুখ্যমন্ত্রী জানান রাজ্যে সরকারের তরফে কয়েক কোটি কর্মসংস্থান তৈরি করা হবে।
শুক্রবার বাজেট পেশের আগে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে কয়েক কোটি কর্মসংস্থান তৈরি করব আমরা।” তিনি আরও জানান, করোনাকালেও পশ্চিমবঙ্গের রাজস্ব আদায় ৩.৭৬ গুণ বেড়েছে। পাশাপাশি বাজেটে বরাদ্দও বেড়েছে। এছাড়া সামাজিক প্রকল্পে রাজস্ব ১০ গুণ বরাদ্দ বেড়েছে। উচ্চশিক্ষায় বরাদ্দ ২৫ শতাংশ বেড়েছে। কৃষিতে বরাদ্দ বেড়েছে ১১.৩ গুণ। স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বরাদ্দ বেড়েছে ১৯.৩ গুণ।বাজেটে ঘোষণা করা হয়েছে কৃষি বিপণনে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। বাজেট পেশের সময় অর্থ মন্ত্রকের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান যে কৃষি বিপণনের জন্য ৪০৩.৩০ কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রস্তাব করা হয়েছে। কৃষকদের সাহায্য করতে চালু হওয়া কৃষকবন্ধু প্রকল্পের মাধ্যমে ৭৮ লক্ষ কৃষক লাভবান হয়েছেন এর পাশাপাশি এবারের বাজেটে ফ্ল্যাট-বাড়ি কেনাবেচায় স্ট্যাম্প ডিউটিতে ২ শতাংশ ছাড়ের বহাল রাখার কথা জানাল রাজ্য সরকার । এই ছাড়ের মেয়াদ বাড়ল ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। বিধানসভায় পেশ করা বাজেটে সার্কেল রেটেও ১০ শতাংশ ছাড়ের কথা জানানো হয়েছে। স্ট্যাম্প ডিউটি ও সার্কেল রেট কমানোয় লেনদেনের খরচ কমবে। এর ফলে ক্রেতাদের উপর আর্থিক বোঝা কিছুটা কমবে। যার ফলে বাড়বে ফ্ল্যাট ও বাড়ি কেনার আগ্রহ। আবাসন শিল্প চাঙ্গা হলে বাড়ি বা ফ্ল্যাট বিক্রি বাড়লে রাজ্য সরকারের হাতেও বাড়তি অর্থ আসতে পারে।
সেই লক্ষ্যেই স্ট্যাপ ডিউটিতে ২ শতাংশ ছাড় ও সার্কেল রেটে ১০ শতাংশ ছাড় বহাল রাখা হল বলে মনে করা হচ্ছে।
এছাড়া বাজেটে বিভিন্ন অর্থ-সামাজিক প্রকল্পে জোর দেওয়া হয়েছে। ফলে এবারের রাজ্য বাজেটে স্বাস্থ্যসাথী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার-সহ একাধিক সামাজিক প্রকল্প গুরুত্ব পেয়েছে। রাজ্য বিধানসভায় বাজেট পেশের পর ফের একবার রাজ্যকে আর্থিক বঞ্চনা নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছেন মমতা। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কেন্দ্রের থেকে ৯০ হাজার কোটি টাকার বেশি পায় রাজ্য। আমফানের পর ৩২ হাজার কোটি টাকার বেশি পায় রাজ্য। ডিভিসি এখনও পর্যন্ত ঠিকমতো ড্রেজিং করেনি। ফরাক্কায় ড্রেজিংয়ে ৭০০ কোটি টাকা দেবে বলেছিল কেন্দ্র, এখনও দেয়নি।”তার মধ্যেও রাজ্যের মানুষদের বিভিন্ন প্রকল্পর মধ্যে দিয়ে তাদের আর্থিক দিকগুলি পূরণ করছে সরকার।।