প্রতিনিধি:-
পাঞ্জাবে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে সরকার গঠনের পথে। দিল্লি, পঞ্জাবের পর এবার কি তবে বাংলা? এ রাজ্যের প্রায় ১৫ থেকে ১৬টি জেলায় আম আদমি পার্টি (Aam Aadmi Party) ইতিমধ্যেই তাঁদের সংগঠন মজবুত করে ফেলেছে বলে দাবি। এ প্রসঙ্গে এই রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত সঞ্জয় বসু জানিয়ে দিলেন এই রাজ্যে তাদের ভবিষ্যত পরিকল্পনা কি !সঞ্জয় বসু বলেন, ”দিল্লি মডেল প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছি। নাটকীয় পরিবর্তন হবে এবার। আজ পঞ্জাবে যা হয়েছিল, তার বীজ বপন করা হয়েছিল গত ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সই সংগ্রহ করা হয়েছিল। সদস্য বাড়াতে ক্যাম্পেন চালানো হয়েছিল। এবার একটা প্ল্যান অফ অ্যাকশন তৈরি করতে হবে। আমরা রাষ্ট্রীয় নির্মাণ অভিযান করব।” সঞ্জয় বসু বলেন, ”আগামী ১০ দিনের মধ্যে বাংলা একটি রূপরেখা তৈরি হবে। আরও ঝাঁঝালো ভূমিকা নেওয়া হবে বাংলায়।”আপের হাওড়া জেলার অধ্যক্ষ অর্ণব মৈত্র বলেন, ”বাংলায় এখন আমাদের পার্টি পুরোদমে সংগঠন গড়ে তুলেছে। প্রত্যেক জেলাতেই কাজ হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ১৫ থেকে ১৬টি জেলায় আমাদের কমিটি গঠন করা হয়ে গিয়েছে। আর কয়েকদিনের মধ্যেই বাকি জেলাতেও সংগঠন মজবুত করার কাজ শুরু হয়ে যাবে।” অর্ণব মৈত্র আরও বলেন, ”বাংলাতে আপ উইল বি দ্য পায়োনিয়র। আর সেই লক্ষ্যেই আমরা কোমর শক্ত করছি।” সে ক্ষেত্রে রাজ্যে আগামী পঞ্চায়েত ভোটকেই টার্গেট করে তারা ময়দানে নামছে বলে সাফ জানিয়েছেন হাওড়া জেলার এই অধ্যক্ষ।একসময় বাংলার বন্ধু রাজ্যের তালিকাতেই পরত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একাধিক পদক্ষেপে সমর্থন জানিয়েছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সেদিক থেকে আপের বর্তমান পদক্ষেপ বাংলার তৃণমূল সরকারকে কতটা টক্কর দিতে পারে, তা নিয়ে কাটাছেঁড়ায় ব্যস্ত রাজনৈতিক মহল। তবে বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, বাংলায় এখনও সেভাবে ছাপ ফেলতে পারেনি কেজরির দল। ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনের সময় বাংলা থেকে কিছু আসনে প্রার্থীকিছু আসনে প্রার্থী দিয়েছিল আপ। কিন্তু, জামানত জব্দ হয় তাঁদের। পঞ্জাবে ল্যান্ডস্লাইড ভিক্ট্রি বাংলার ক্ষেত্রে রাস্তা সুগম করবে কিনা, তা নিয়ে অবশ্য সন্দিহান রাজনীতিবিদরা।পঞ্জাব জয়ে কেজরির যে প্রতিশ্রুতিগুলি কাজে এসেছে, সেগুলি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের আমলে দীর্ঘদিন ধরেই বাংলার মানুষ পাচ্ছেন।