মুক্তিযোদ্ধাঃ-
আশা ছিল আগে থেকেই কিন্তু, তার সঙ্গে ছিল আশঙ্কাও। কারণ যদি শেষ মুহূর্তে খেলা ঘুরে যায়। নাহ, তবে তেমন কিছুই হয়নি। পঞ্জাব বাদে চার রাজ্য ফের নিজেদের পকেটে ভরেছে বিজেপি । উত্তরপ্রদেশে ধুয়ে সাফ করে দিয়েছে বিরোধীদের। আর এবার বিজেপির নজর গুজরাটের দিকে। পাঁচ রাজ্যের পর এ বছরের শেষেই ভোট গুজরাটে । তাই এক মুহূর্তও সময় নষ্ট করতে চাইছে না তারা। এখন থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে প্রস্তুতি। পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরই শুক্রবার নিজের রাজ্য গুজরাটে রোড শোয়ে নামলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তারপর রোড শো শেষ করে যান নিজের বাড়িতে। সেখানে মায়ের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। শুক্রবার গুজরাটের আমদাবাদে একটি জমকালো রোড শো করেন । এদিন তাঁকে দেখতে রাস্তার দু’ধারে প্রায় পাঁচ লক্ষ মানুষ ভিড় করেছিলেন বলে বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে। বিমানবন্দর থেকে গান্ধীনগরে বিজেপির রাজ্য সদর দফতর ‘কমলম’ পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার জুড়ে এই রোড শো চলে। তারপরই গান্ধীনগরের বাড়িতে মাযের সঙ্গে দেখা করতে যান। সেখানে মায়ের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটান এমনকী, একসঙ্গে খাবার খেতেও দেখা গিয়েছে তাঁদের। উল্লেখ্য, গুজরাটে তিনবার মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। এই বছরের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে চলা গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে তিনি দলের প্রধান মুখ হতে চলেছেন। আর সেই কারণেই নির্বাচনের এখনও ঢের দেরি থাকলেও এখন থেকেই প্রচার শুরু করে দিয়েছে বিজেপি। আর সেখানে প্রথম থেকেই মাঠে নেমে পড়েছেন মোদী।
এদিন গান্ধীনগর বিমান বন্দর থেকে কমলম পর্যন্ত রোড শো করছেন প্রধানমন্ত্রী। ১০ কিলোমিটার পথ হুডখোলা জিপে চেপে সফর করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। আর এই রোড শো-তে তাঁর পাশেই ছিলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল এবং বিজেপি রাজ্য সভাপতি সিআর পাতিল।বর্ণাঢ্য এই রোড শো দেখার জন্য রাস্তার দুই ধারে দাঁড়িয়ে ছিলেন হাজার হাজার মানুষ। হুড খোলা জিপ থেকে তাঁদের উদ্দেশ্যে হাত নাড়তে দেখা গিয়েছে।
গত কালই টুইটারে গুজরাট সফরের কথা জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর আজ বিকেল ৪টের সময় পঞ্চায়েত মহাসম্মেলনও যোগ দেন তিনি। আগামীকাল সকাল ১১টায় রাষ্ট্রীয় রক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভাষণ দেবেন। উল্লেখ্য, ১৯৯৫ সাল থেকে গুজরাটে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। আর এবারও সেই রাজ্য যাতে নিজেদের হাতেই থাকে তার জন্য এখন থেকেই ঝাঁপিয়ে পড়েছে বিজেপির নেতৃত্ব। আর সেই কারণে মোদীকে দিয়েই সেখানে যাত্রা শুরু হল বিজেপির প্রচারের।।