প্রতিনিধি,মুক্তিযোদ্ধাঃ-
ইঙ্গিত আগেই মিলেছিল, অবশেষে জনমত সমীক্ষার ফলাফলকে সত্যি করেই উত্তরপ্রদেশে বিপুল সংখ্যা গরিষ্ঠতায় ক্ষমতায় ফিরল বিজেপি। শেষ পাওয়া আপডেটে দেখা যাচ্ছে এখনও পর্যন্ত উত্তরপ্রদেশে ২৫৫টির বেশি আসনে এগিয়ে রয়েছে যোগী ব্রিগেড । যার মধ্যে সিংহভাগ আসনেই এসে গিয়েছে জয়। এদিন সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় ভোট গণনা। এদিকে ফল প্রকাশের দিন কোনোরকম বিশৃঙ্খলা এড়াতে সকাল থেকেই কড়া নিরাপত্তার চাদড়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা রাজ্যকে। গণনা কেন্দ্রের বাইরে বিপুল সংখ্যক নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এদিকে এর আগে ২০১৭ সালের শেষ বিধানসভা নির্বাচনের ফল বেরিয়েছিল ১১ মার্চ। সেই সময়েও বিপুল সংখ্যা গরিষ্ঠতায় রাজ্যে ক্ষমতায় ফিরেছিল বিজেপি।এদিকে শেষ পাওয়া আপডেটে দেখা যাচ্ছে উত্তরপ্রদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আসন বারাণসীতে সাতটি আসনে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। তিন দফা গণনার পর মন্ত্রী নীলকান্ত তিওয়ারি দক্ষিণ বারাণসী সিটি থেকে ১৬৭৩টি ভোটে পিছিয়ে রয়েছেন। বাকি সাতটি আসনে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। পিন্দ্রা থেকে কংগ্রেসের অজয় রাই পিছিয়ে রয়েছেন। শিবপুর থেকে বিজেপির অনিল রাজভর, সিটি উত্তরের রবীন্দ্র জয়সওয়াল এবং ক্যান্ট থেকে বিজেপির সৌরভ শ্রীবাস্তব এগিয়ে রয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।এদিকে যোগী ব্রিগেডকে এবারের ভোটে জোরদার টক্কর দিয়েছিল বিরোধীরা। তবে শেষ পর্যন্ত রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার জন্য যোগীর উপরেই যে রাজ্যের মানুষ ফের ভরসা করছে তা বলাই বাহুল্য। পাশাপাশি এবারের ভোটে মহিলা ভোট যে এক্স ফ্যাক্টর হয়েছে তা বলাই বাহুল্য। অন্যদিকে করোনাকালে বিনামূল্যে রেশন বিতরণ কাজে এসেছে বলে মনে করা হচ্ছে। একইসঙ্গে কিষাণ সম্মান নিধি এবং আবাসন প্রকল্প যোগীর পক্ষে ভোট টেনেছে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান যোজনার আওতায় প্রতি বছর ছয় হাজার টাকা করে দেওয়া হয়।
এই অর্থ সরাসরি কৃষকদের অ্যাকাউন্টে যায়। এছাড়াও, দরিদ্র ও মধ্যবিত্তদের আবাসন প্রকল্প এবং শৌচাগারের জন্য যথেষ্ট পরিমাণে টাকা দেওয়া হয়। দলিত ভোটারদের বিজেপিতে আসাও যে বিজেপি-র জয়ের রাস্তা আরও সহজ করেছে তা সহজেই অনুমেয়। এবারের ভোটে প্রায় ৭০ শতাংশ দলিত ভোটার বহুজন সমাজ পার্টি থেকে বিজেপিতে চলে গিয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।