প্রতিনিধি মক্তিযোদ্ধাঃ-
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভায় রদবদল হয়ে গেল পুরভোট মিটতেই। কয়েকদিন ধরেই মন্ত্রিসভার রদবদলের জল্পনা শুরু হয়েছিল সেই জল্পনাকে সত্যি করে মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার রদবদল করলেন। অর্থমন্ত্রী পেল রাজ্য সোমবার বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের পর থেকেই মন্ত্রিসভার রদবদলের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। দেখে নেওয়া যাক রাজ্যের মন্ত্রিসভায় কে এলেন,আর কে গেলেন।রাজনৈতিক মহলে জল্পনা চলছিল রাজ্যের বেশ কয়েকজন মন্ত্রীর দফতর পরিবর্তন হতে পারে। সেইমতো রাজ্য কমিটির বৈঠকের আগেই মন্ত্রিসভায় রদবদল ঘটালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের আরও গুরুত্ব বাড়ল রাজ্য মন্ত্রিসভায়। ভালো কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ফিরহাদ হাকিমকে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হল।নবান্ন সূত্রে জানানো হয়েছে, সোমবার বিকেলেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রদবদল করেন তাঁর মন্ত্রিসভার। মুখ্যমন্ত্রী এই রদবদলের পর মন্ত্রিসভার নয়া তালিকা রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের কাছে পাঠিয়েও দেওয়া হয়েছে। পরিবর্তিত রাজ্য মন্ত্রিসভায় পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের দায়িত্ব পেলেন ফিরহাদ হাকিম। কলকাতার মেয়র হওয়ার আগে ১০ বছর এই দায়িত্বেই ছিলেন তিনি। ফের ফিরলেন সেই পুরনো দফতরে।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃতীয় জমানায় পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের দায়িত্ব পান চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবার তাঁর হাত থেকেই ফের ফিরহাদের হাতে উঠল এই দফতর। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে অর্থ দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রমন্ত্রী করা হল। এর সঙ্গে আবাসন ও পরিবহন দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বেও রয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তেই স্পষ্ট তিনি তাঁর দফতরের প্রবীণ নেতাদেরই গুরুত্ব বাড়ালেন যে সব মন্ত্রীরা ২০১১ সাল থেকে রয়েছেন, কিন্তু ২০২১-এর মন্ত্রিসভায় গুরুত্বপূর্ণ দফতর পাননি, তাঁদের গুরুত্ব বাড়ানো হতে পারে।
টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর ২০১১ সালের অনেক মন্ত্রী কম গুরুত্বপূর্ণ দফতর পেয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ফিরহাদ হাকিম ও চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের গুরুত্ব এবার আরও বাড়ানো হল।সোমবার নবান্নের তরফেই আভাস মিলেছিল, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য বাজেট অধিবেশনের উদ্বোধনের পরই রাজ্য মন্ত্রিসভায় রদবদল করতে পারেন। সেইমতো সোমবারই রদবদল করে ফেলেন তিনি। এর আগে শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন মন্ত্রীদের দফতর রদবদল করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণের পর তাঁর দফতর দেওয়া হয়েছে জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি মন্ত্রী পুলক রায়কে। প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শিউলি সাহাকে রেখে দেওয়ার পাশাপাশি প্রতিমন্ত্রী হিসেবে জুড়ে দেওয়া হয়েছে বেচারাম মান্নাকে। উল্লেখ্য, তিনি শ্রম দফতরের প্রতিমন্ত্রীও।তারপর ক্রেতাসুরক্ষা মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে কিছুদিন আগেই প্রয়াত হয়েছেন। তার আগে তিনি দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন। তিনি অসুস্থ থাকাকালীন তাঁর দফতর দেওয়া হয়েছিল জলসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী মানস ভুঁইয়াকে। ওই দফতরের প্রতিমন্ত্রী করা হয় বন প্রতিমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদাকে। সাধন পাণ্ডের প্রয়াণের পর একটি পদ ফাঁকা হয়েছে। সেই পদে নতুন কাউকে নেওয়া হল না। যাঁদের বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তাঁদের উপরই ভরসা দফতরগুলি।