প্রতিনিধি মুক্তিযোদ্ধাঃ-
বিধানসভা ভোটে একেবারে ঝোরো ব্যাটিংয়ের পরেই পুরসভাতেও ঝড় তোলে তৃণমূল! একের পর এক নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশেই থেকেছেন বাংলানর মানুষ। আর সেই মানুষের পাশে দাঁড়াতে এবার বড় সিদ্ধান্ত তৃণমূল সুপ্রিমোর। জনসংযোগ যাত্রার কর্মসূচি’র ডাক তাঁর।আজ মঙ্গলবার নজরুল মঞ্চে তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়েছিল। আর সেখানেই বড়সড় এই কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়। মুলত নতুন সরকারের এক বছর পূর্তিতেই এই জনসংযোগ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, কীভাবে এই জনসংযোগ কর্মসূচি হবে সেই রূপরেখাও এদিন তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানান, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা রয়েছে সামনে আর তা শেষ হওয়ার পরেই ২রা মে আমাদের নতুন সরকারের এক বছর এই এক বছরকে মাথায় রেখেই এই জনসংযোগ কর্মসূচির ডাক দেন নেত্রী।তিনি জানান, ৫ মে থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত হবে জনসংযোগ। ৫ মে শুরু হবে সংযোগ যাত্রা,২১ জুলাই থেকে পুজো পর্যন্ত হবে জনসংযোগ। তৃতীয় পর্যায় হবে দিওয়ালির পর হবে বলেও এদিন জানিয়ে দিয়েছেন সুপ্রিমো। তবে কীভাবে হবে তা বিস্তারিত আরও পরে জানানো হবে বলে তৃণমূল সুত্রে খবর।
তবে এই জনসংযোগ যাত্রার মধ্যেই অন্য গন্ধ পাচ্ছেন রাজনৈতিক কারবারিরা। সামনেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন রয়েছে। ইতিমধ্যে কর্মীদের তৈরি হওয়ার ডাকও দেওয়া হয়েছে,পঞ্চায়েত মিটলেই লোকসভায়। বিজেপি নতুন করে লোকসভা নির্বাচনকে টার্গেট করেছে। গত বার ১৮টি লোকসভা আসন পায় বঙ্গ বিজেপি। এবারও সেই লক্ষ্যেই এগোচ্ছে বিজেপি সদ্য শেষ হওয়া পুরসভা নির্বাচনে যেভাবে শাসকদল জিতেছে সেই জয়ের ধারা আগামী পঞ্চায়েত এবং লোকসভাতে ধরে রাখতেই এই জনসংযোগ যাত্রা বলে মনে করা হচ্ছে। এতে মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ আরও বাড়াবে বলেই মনে করছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।অন্যদিকে এদিন কাউন্সিলারদের সমস্ত জয়ী জনপ্রতিনিধিদের মাঠে নেমে কাজের বার্তা দিলেন প্রশাসনিক প্রধান।
বলেন, ট্রেড মিলে দৌড়ে কোনও লাভ হবে না- মানুষের কাছে গিয়ে ঘাম ঝরাতে হবে। মানুষের পাশে থাকতে হবে তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এহেন কর্মসূচিকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার তাঁর দাবি, ওটা জনসংযোগ নয়, তোলা-সংযোগ। পুরভোটে কি হয়েছে বাংলার মানুষ দেখেছে। এখন মনে হচ্ছে ইমেজ বিল্ডিংয়ের প্রয়োজন রিয়েছে। আর তাই এই সব করা হচ্ছে বলে তোপ বিজেপি নেতার।