মুক্তিযোদ্ধা প্রতিনিধি শুভ চক্রবর্তী পশ্চিম মেদিনীপুর-
আমাদের কাছে নির্বাচন হলো এক রাজনৈতিক সংগ্রাম।আমরা লড়াই করছি বিকল্প সরকার এবং বিকল্প নীতির ভিত্তিতে। আমাদের কাছে রাজনীতি হল এমন এক নীতি যা দেশ চালায়, দেশের অর্থনীতি চালায় এবং সংস্কৃতি নির্ধারণ করে।
কেন্দ্রের বিজেপি সরকার বলেছিল বছরে দুই কোটি বেকারের চাকরি দেবে। আর দিদি বলছে ৯০ ভাগ বেকারকে চাকরি দিয়ে দিয়েছে। হাতে গুনে কেউ দেখেছেন কত কোটি বেকার কে চাকরি দিয়েছে এই দুই সরকার? আদৌ কোনো নিয়োগ হয়নি ।
শনিবার দাসপুরএর কলোরা মাঠে নির্বাচনী জনসভায় প্রবীণ সিপিআইএম নেতা সূর্যকান্ত মিশ্র বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই কথাগুলো বলেন।
তিনি বলেন, দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্য বৃদ্ধি হচ্ছে। বিজেপি সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতে দেশকে বিভাজনের নীতি নিয়েছে। এই নীতি নিয়েছিল ব্রিটিশরা ।মানুষকে তার সমস্যার কথা ভুলিয়ে তার মগজ এর মধ্যে এইসব নীতি ঢুকিয়ে দিয়ে ভুলিয়ে রাখতে চায় বিজেপি
সূর্যকান্ত বাবু ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলন সহ বিভিন্ন আন্দোলনের বিবরণ দিয়ে বলেন, আমাদের ভারতবর্ষের ইতিহাস আন্দোলনের ইতিহাস। দেশকে ধর্মের ভিত্তিতে ভাগ করতে চাইছে বিজেপি। জিনিসপত্রের দাম যখন বাড়ে তখন কি হিন্দুদের জন্য দাম কম হয়? তখন সবাই আক্রান্ত হয়।
ত্রাণের টাকা থেকে শুরু করে সবকিছু লুট করছে বর্তমান রাজ্য সরকার।
সূর্য বাবু বলেন, অনেকে বলছেন আমরা কেন কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধেছি? আমরা যখন সরকারে ছিলাম, তখন কংগ্রেস আমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে ।যখন আমরা সরকারে ছিলাম না তখন আমরা কংগ্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি।
কিন্তু দেশের সামনে সাম্প্রদায়িকতার বিপদ সহ বিভিন্ন বিপদ থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্য আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছি।
অনেকে বলছেন আইএসএফ ধর্মীয় দল ।ঘাটাল মহকুমার চন্দ্রকোনা তে আইএসএফ যে প্রার্থী তিনি কি মুসলমান?
প্রবীণ সিপিআইএম নেতা আরও বলেন, গত বছর অপরিকল্পিত লকডাউন এর জন্য ১৫ কোটি লোক বেকার হয়েছে কিন্তু মুনাফা বেড়েছে আম্বানি এবং আদানি দের। যারা বিজেপি এবং তৃণমূল করেন তাদের জিজ্ঞাসা করছি আপনাদের কি সম্পত্তি বেড়েছে?দেশে এইরকম অর্থনৈতিক মন্দা কোনদিন হয়নি, এর জন্য দায়ী কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি।
তিনি দিল্লির সীমান্তে কৃষক আন্দোলনের কথা উল্লেখ করেন।
সূর্যকান্ত বাবু বলেন,আমরা এমএলএ বানানোর জন্য নির্বাচনে লড়াই করি না। আমরা কিছু নীতির ভিত্তিতে নির্বাচনে লড়াই করি ।
এদিনের সভায় দাসপুর বিধানসভার সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী ধ্রুব শেখর মন্ডল সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা ছিলেন।