টাকার বিনিময়ে কলেজে ভর্তি হওয়া নিয়ে রাজ্য জুড়ে বিতর্কের মধ্যেই এবার দুর্গাপুরেও ঘটে গেল এক চাঞ্চল্যকর ভর্তিকান্ড। সংবাদমাধ্যমের সাহায্য নিয়ে এক ছাত্র সরাসরি অপরাধীকে সামনে এনে ধরে দিলেও পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেনি। রমজান খান নামে অভিযুক্ত তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ঐ সদস্য ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। ঘটনা দুর্গাপুরের মাইকেল মধুসূদন মেমোরিয়াল কলেজের। জানা গেছে, বিনয় লোহানি নামে এক ছাত্র মাইকেল মধুসূদন কলেজে ভর্তির জন্য রমজান খান নামে ছাত্র পরিষদের এক সদস্যের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তাদের মধ্যে হোয়াটস অ্যাপে ভর্তি সংক্রান্ত যে সব কথাবার্তা হয়েছে তা সংবাদমাধ্যমের কাছে চলে আসে। বিনয়ের অভিযোগ, রমজান আড়াই হাজার টাকা দিয়ে অনলাইনে ভর্তি হয়ে যাওয়ার পর নগদ ৭ হাজার টাকা তার কাছে চেয়েছিল। এরপর বিনয় সাংবাদিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের আগাম সব কিছু জানিয়ে দেয়। সোমবার কলেজে চত্বরেই রমজানকে টাকা দেওয়ার হাজির হয় বিনয়। রমজান খানের হাতে টাকা দিতে গেলে সাংবাদিকদের কাছে হাতেনাতে ধরা পড়ে যায় সে। তার কাছ থেকে নগদ ৭ হাজার টাকা আটক করা হয়েছে। খবর পেয়ে সিটি সেন্টার ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও তাদের ভূমিকা ছিল নীরব দর্শকের। সেই সময় সহজেই পালিয়ে যায় রমজান। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবক মহলে। প্রশ্ন উঠছে,মুখ্যমন্ত্রীর কড়া হুঁশিয়ারী ও পুলিশের নজরদারির মধ্যেও কিভাবে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এক সদস্য এই কাজের সাহস পায়?