উজ্জ্বল ভট্টাচার্য, শিলিগুড়ি, ১৯ শে জুন, ২০১৮ : এক নাবালিকার অস্বাভাবিক মৃত্ত্যুকে ঘিরে রহস্য দেখা দিয়েছে সাধারণ শিলিগুড়ির রবিন্দ্রগর এবং শিলিগুড়ি সংলগ্ন ফাপড়ি এলাকায় । মৃত ছাত্রীর পরিবারের দাবি ঐ নাবালিকাকে খুন করা হয়েছে । এবং এ ঘটনায় শিলিগুড়ি ঐ নাবালিকাকে জোর জবস্তি করে ধর্ষণ করার চেষ্টা বা ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে । অভিযোগও উঠেছে দুই যুবকের বিরুদ্ধে।
এদিন এই অস্বাভাবিক মৃত্যুকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায় সংশ্লিষ্ট এলাকায় । গোটা ঘটনার নিরপেখ ও পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে এই ঘটনার সাথে জড়িতদের কঠোর শাস্তি দাবি করেছে ওই মৃতার পরিবার।
এ ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় মানুষ, মৃতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোমবার বিকেলে ঐ নাবালিকা বাড়ি থেকে বেরিয়ে তার দুই পরিচিত বন্ধুর সাথে শিলিগুড়ি সংলগ্ন ফাপড়ি যায় ।
মৃতের পরিবারের লোকজন গতকাল থেকে খোঁজ করে এদিন জানতে পারেন ঐ নাবালিকা ছাত্রী পায়েলি রায় (পরিবর্তিত নাম / আসল নাম নয়) ফাপড়ি এলাকায় এক বাড়িতে অসুস্থ অবস্থায় আছে । সেখানে গিয়ে পায়েলির মা দেখতে পান পায়েলি ঐ এলাকারই এক গৃহস্থ বাড়িতে অসুস্থ অবস্থায় বিছানায় শুয়ে আছে ।
ঐ বাড়ি থেকে অসুস্থ পায়েলি কে উদ্ধার করে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা পায়েলি কে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মৃত নাবালিকার মা কল্পনা রায় এদিন এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন , সোমবার বিকেল ৫টা নাগাদ পরিচিত দুই যুবক এসে তাদের মেয়েকে ডেকে নিয়ে যায়। তার মেয়ে কেন বনবস্তি সংলগ্ন ফাপড়ি এলাকায় গিয়েছিল তা তাদের জানা নেই । তারা খোঁজ করতে থাকেন, এবং তাদের কাছে খবর যায়, ওই নাবালিকা ফাপড়ি এলাকায় অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এরপর একটি বাড়িতে গিয়ে শুয়ে থাকা অবস্থায় বিছানায় তাদের মেয়েকে দেখতে পান । সেই সঙ্গে তারা মেয়ের শরীরের আঘাতের দাগের চিহ্নিও দেখতে পায় । ওই মৃতার মা আরও বলেন, ওই সময় তার মেয়ে তাকে তার সাথে জোর- জবরদস্তি ঘটে যাওয়া ঘটনার প্রেক্ষিতে বাঁচিয়ে তোলার আর্জিও জানায়। এরপর নাবালিকাকে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে তাদের মেয়েকে হাসপাতালের ডাক্তার ( পায়েলি কে) মৃত বলে জানায়। এই ঘটনার সাথে দুজন যুবক জড়িত বলেও জানান মৃতার মা । তারা পুলিশের কাছেও এ ঘটনার অভিযোগ করেছেন ।
অপরদিকে এদিন ফাপড়ি এলাকার অধিকাংশ স্থানীয় মানুষজন বলেন, সন্ধ্যা হলেই এই এলাকায় বেশ কিছুদিন ধরেই অপরাধ মুলক কাজকর্ম দেখা যায় কিন্তু ভয়ে
কেউ কিছু বলতে সাহস পায় না । প্রায় প্রতিদিনই বেশ কিছু যুবক- যুবতীদের ছেলে- মেয়েদের এ সকল এলাকায় ঘুরতে দেখা যায় । মদ- মাতালদেরও দেখতে পাওয়া যায় । পুলিশের নজরদারি আরও বাড়ানো উচিত বলে তাদের মত।
জানা যায়, ভক্তিনগর থানার পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত করছে এবং ঐ দুই যুবকদের ধরারচেষ্টা করছে ।