প্রদীপ সাঁতরা : পৃথিবীতে ৭০০ কোটি মানুষের বাস৷ আরো ২০০ কোটি মানুষ এই বিশাল জনস্রোতে যোগ দেবে ২০৫০ সাল নাগাদ। পরিসংখ্যান বলছে, বিশ্বের প্রতিটি মানুষ প্রতি দিন গড়ে ২ থেকে ৪ লিটার জল পান করে। তবে আমরা প্রতি দিন যে পরিমাণ জল পান করি তার বেশির ভাগ অংশই খাদ্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত। যেমন পশু পালন এবং খামারের কাজ মিলিয়ে প্রতি এক কেজি গরুর মাংস উৎপাদন করতে খরচ হচ্ছে ১৫০০০ লিটার জল, অপর দিকে এক কেজি গম উৎপাদনে খরচ হয় ১৫০০ লিটার জল। ১৯৯২ সালে ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোতে রাষ্ট্রসংঘ পরিবেশ ও উন্নয়ন সম্মেলনের (ইউএনসিইডি) আলোচ্যসূচি অনুযায়ী এজেন্ডা ২১-এ প্রথম বিশ্ব জল দিবস পালনের আনুষ্ঠানিক প্রস্তাবটি উত্থাপিত হয়। ১৯৯৩ সালে প্রথম বিশ্ব জল দিবস পালিত হয় এবং তার পর থেকে এই দিবস পালনের গুরুত্ব ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে থাকে। রাষ্ট্রসংঘের সদস্য দেশগুলি এই দিনটিকে নিজ নিজ রাষ্ট্রসীমার মধ্যে রাষ্ট্রসংঘের জলসম্পদ সংক্রান্ত সুপারিশ ও উন্নয়নপ্রস্তাবগুলির প্রতি মনোনিবেশের দিন হিসেবে উৎসর্গ করেন। প্রতি বছর বিশ্ব জল দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রসংঘের বিভিন্ন সংস্থার যে কোনও একটি বিশেষ কর্মসূচি পালন করে থাকে। ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে রাষ্ট্রসংঘ বিশ্ব জল দিবসের থিম, বার্তা ও প্রধান সংস্থা নির্বাচনের দায়িত্বে রয়েছে। রাষ্ট্রসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলির পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থাও পরিচ্ছন্ন জল ও জলসম্পদ রক্ষা সম্পর্কে জনসচেতনতা গড়ে তোলার জন্য এই দিন বিশেষ কর্মসূচির আয়োজন করেন। রাষ্ট্রসংঘ বিশ্ব জল উন্নয়ন প্রতিবেদন সাধারণত বিশ্ব জল দিবসেই প্রকাশ করে থাকে। অনেকেই মনে করেন পরবর্তী বিশ্বযুদ্ধ যদি হয়, তবে তা হবে জলের জন্য। জলের অপচয় রোধ করার জন্য মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধিতে এই দিনটির বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।
জল বাঁচান জীবন বাঁচান
জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে : #সুমিত_চক্রবর্তী ( টুকাই )
( চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল)
উত্তরপাড়া পৌড়সভা!
Comment here