সোমবার পয়লা আষাঢ় শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা, এই দিন আবার ছিল পূর্ণিমা এই উপলক্ষে হুগলির শ্রীরামপুরে মাহেশে ভক্তদের ভিড় ছিল দেখার মতো, নিরাপত্তার স্বার্থে মাহেশের জগন্নাথ দেবের মন্দিরে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন ছিল, ছিল পর্যাপ্ত মহিলা পুলিশ। তিথি অনুযায়ী সোমবার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে মন্দির থেকে জগন্নাথ বলরাম সুভদ্রাকে মন্দির থেকে পাশেই স্নান পিড়ির মাঠের পাশেই দোতলার উপরে স্নান মঞ্চে নিয়ে আসা হয়। এই সঙ্গে চলে খোল, কর্তাল বাজিয়ে নাম গান অপরদিকে মন্দিরে প্রচুর ভক্তদের ভিড়। স্নানমঞ্চেও সেবাইতরা ছাড়াও বেশকিছু ভক্তদের ভিড়ে ঠেলাঠেলি হয়।
কাঁটায় কাঁটায় দুপুর একটায় গঙ্গা থেকে আনা ২৮ ঘড়া গঙ্গাজল দেড় মণ খাঁটি গরুর দুধ দিয়ে প্রভু জগন্নাথ সুভদ্রা বলরামকে ক্রমপর্যায় স্নান করানো হয়। জগন্নাথ দেবের মূর্তি তে সেবাইতরা দুধ গঙ্গা জল ঢালতে থাকেন সুভদ্রা বলরাম এর মূর্তিতেও দুধ গঙ্গাজল পড়তে থাকে, সঙ্গে থাকা ভক্তরা সেই দুধ গঙ্গাজল পেতে উদগ্রীব হয়ে ওঠেন, নিচে মাঠ জুড়ে থাকা ভক্তরা ওই দৃশ্য দেখতে থাকেন, প্লাস্টিকের বোতল ছুড়তে থাকেন অনেক ভক্তরা তা নিয়ে যাবে বলে । একসময় জি টি রোড জ্যাম হয়ে যায় , ভক্তরা জয় জগন্নাথ বলতে থাকেন এইভাবে প্রায় এক ঘন্টার কাছাকাছি প্রভু জগন্নাথ বলরাম সুভদ্রাকে স্নানপর্ব চলে। স্নান সেবাইতরা আবার তাদের মন্দিরে নিয়ে যান সঙ্গে ভক্তরাও যান, চলে নাম সংকীর্তন।
প্রধান সেবাইত সৌমেন অধিকারীর বক্তব্য প্রথা অনুযায়ী জগন্নাথ বলরাম সুভদ্রার স্নানযাত্রা হল। এই স্নান পিড়ির মাঠে ২৮ ঘড়া গঙ্গা জল দিয়ে স্নান পর্ব শেষ হলো, প্রচুর মানুষের সমাগম হয়। মঙ্গলবার থেকে মন্দির বন্ধ হবে, রথ যাত্রার আগের দিন মন্দির খোলা হবে।
Comment here