জেলা

স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে চিকিৎসা অমান্য করায় হাসপাতালে বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ

বারাসাতে নারায়ণ হসপিটালে আইনজীবী গৌরাঙ্গ পাল তার অসুস্থ স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্য সাথী কার্ড ব্যবহারে করতে গেলে তাহাকে চূড়ান্ত হয়রানি ও অপমানের সমূখীন হতে হয়। তিনি এই অপমানের জন্য প্রশাসনের দারস্ত হন কিন্তু সেখান থেকে কোনো রকম দিনের পর দিন অপেক্ষা করে কোনো সুরাহা না পাওয়ায় তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।এই ঘটনার আদালত হস্তক্ষেপ করে আজ ৩০ শে জুলাই হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিলেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দ্রুত এর তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দিতে।
ঘটনাটি ৩রা জুন বারাসাতের বাসিন্দা ও বিশিষ্ট আইনজীবী গৌরাঙ্গ পাল মহাশয়ের। তাহার স্ত্রী হঠাৎ অসুস্থ হওয়ায় কাছেই নারায়ণ মেমোরিয়াল হাসপাতাল সেখানে নিয়ে যান এবং ডাক্তারের পরামর্শে ভর্তি করেন। ভর্তির সময় স্বাস্থ্য সাথী কার্ড আছে সেটা জানিয়েছিলেন কর্তৃপক্ষের কাছে।কিন্তু এরপর দিন ১০ কেটে গেলে গৌরাঙ্গ বাবুকে বিল পেমেন্ট করতে বলেন উনি একটু ভেঙ্গেই পড়েন অনেকগুলি টাকার জন্য তবুও উনি জোগাড় করে বেশ কয়েক লক্ষ টাকা জমা দেন এর পর স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর কথা বললে তাহার কোনো কথাই গুরুত্বই দিলেন না,স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে এক প্রকার বিদ্দুপ করলেন। ওই হসপিটালে গৌরাঙ্গ বাবুর স্ত্রী এক মাস ধরে ভুল চিকিৎসার সম্মুখীন হয়েছেন, কারণ দিনের পর দিন তাহার স্ত্রী এমন অসুস্থ হয়ে পড়েন যা মৃত্যুর জন্য সময়ের অপেক্ষা করতে হয় কিন্তু সেইমত তিনি ওই অবস্থায় নারায়ণ হসপিটাল থেকে বের করে কলকাতার বেলভিউ নার্সিংহোমে ভর্তি করেন,এবং সেখানে ১৫ দিনের মধ্যে মোটামুটি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যান তাহার স্ত্রী কিডনির সমস্যা ছিলেন কিন্তু নারায়ন হাসপাতাল ক্যান্সারের ট্রিটমেন্ট করেছেন এক মাস ধরে বলে জানা যায়। এর উপর লক্ষাধিক টাকার বিল যেখানে মাননীয়া মমতা ব্যানার্জির সরকারের স্বাস্থ্য সাথী কার্ড পরিষেবা থাকা সত্ত্বেও যেমন আজ সাধারণ মানুষ এর পরিষেবা থেকে বঞ্চিত ঠিক আজকের দিনে এই গৌরাঙ্গ বাবুদের মতন মানুষজন আর বেসরকারি হসপিটালে এই স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর গুরুত্ব পাচ্ছে না। সেই কারণেই জয়ন্ত নারায়ন চট্টোপাধ্যায় হাইকোর্টে মামলা করেন আর সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তদন্ত করে নিম্ন আদালতে জমা দেওয়ার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।

Comment here