উজ্জ্বল ভট্টাচার্য, শিলিগুড়ি : নিজের স্ত্রী – পুত্রকে হত্যা করার অভিযোগে স্থানীয় মানুষ গণধোলাই এর পর অভিযুক্ত স্বামীকে তুলে দিলো পুলিশের হাতে। মৃতার নাম লক্ষ্মী বসাক (রায়)। পুলিশ ঐ ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেট – এর নিউ জলপাইগুড়ি থানায় । এদিন এঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায় নিউ জলপাইগুড়ি থানার অন্তর্গত গোরামোর সংলগ্ন ঠাকুরনগর এলাকায়। পারিবারিক অশান্তির জেরেই এই ঘটনা বলে পুলিশের প্রাথমিক ধারণা।
এবিষয়ে স্থানীয় মানুষ এবং পুলিশ সুত্রে জানা যায়, জলপাইগুড়ি জেলার অন্তর্গত আমবাড়ি এলাকার বাসিন্দা লক্ষ্মী রায় – এর সাথে বিয়ে হয় পিন্টু বসাক এর। পিন্টু ও লক্ষ্মীর দুই কন্যা ও এক পুত্রসন্তানের সংসার। বেশ কিছুদিন ধরেই তারা ঠাকুরনগরে এক বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। কিছুদিন ধরে তাদের তিন সন্তানের মধ্যে দুই কন্যা তাদের মামা বাড়িতেই থাকত । স্বামীকে ও নয় মাসের শিশু সন্তানকে নিয়ে অন্যদিনের মত ঠাকুর নগরের ভাড়াবাড়িতেই থাকত লক্ষ্মী। আরও জানা যায় যে, স্বামী -স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই পারিবারিক বিবাদ হতো এই দম্পতির । পাড়া প্রতিবেশীদের কাছে জানা যায়, গতকাল রাতেও স্বামী -স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ হয়েছিল । পুলিশ এবং স্থানীয় মানুষ সুত্রে আরও জানা যায়, এদিন সকালে লক্ষ্মী ও তার নয় মাসের ছোট পুত্র সন্তানকে মৃত অবস্থায় পরে থাকতে দেখেই পাড়া প্রতিবেশীদের খবর দেন বাড়িওয়ালা। পিন্টু বসাক কে ধরে বেধে গনধোলাই দেয় স্থানীয় মানুষজন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিশ। মৃতার পরিবারে অভিযোগ, পিন্টু বিয়ের পর থেকেই নানানভাবে লক্ষ্মী বসাক (রায়) এর উপর অত্যাচার চালাতো। তবুও লক্ষ্মী সব মুখ বুঝে সহ্য করতো। গতকাল পিন্টু বসাক -ই লক্ষ্মী ও তার নয় মাসের ছোট্ট ছেলেকে গলা টিপে হত্যা করেছে। পুলিশ পিন্টুকে গ্রেফতার করেছে। তারা ধৃতের কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য তিনি বলেন তার এলাকায় এরকম ঘটনা এই প্রথম আগে কখনো ঘটে নি। তিনি আরও বলেন বাড়ি ভাড়া দেওয়ার আগে যাতে সকলে ভাড়াটিয়াদের সচিত্র পরিচয় পত্র জমা নেয় এবং স্থানীয় পুলিশ -প্রশাসন কে বিশদভাবে জানায়। পুলিশ ধৃতকে জিঙ্গাসাবাদ করেছে ও এই ঘটনার তদন্ত করছে বলে জানা যায়।
Comment here