উন্নয়ন স্বার্থে যশোর রোডের গাছগুলো কাটা নিয়ে যে চক্রান্ত চলে আসছে দীর্ঘদিন সেই চক্রান্ত কে রুখে দিতে ‘যশোর রোডের গাছ বাচাও কমিটির ‘ দায়ের করা মামলা বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের আওতাধীন। বেশ কিছুদিন আগে এক শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট মামলা চলাকালীন গাছ কাটার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। তবে মৃত গাছগুলি যেকোন সময় দুর্ঘটনা ফেলতে পারে সাধারণ মানুষকে তাই যশোর রোডের গাছ বাচাও কমিটির অনুপ্রেরণায় বনদপ্তরের কর্মীরা স্থানীয় প্রতিনিধিদের সহযোগিতায় গত ২/৩ দিন আগে বারাসাত থেকে বনগাঁর বিভিন্ন স্থানে এই শুকনো গাছ কাটার কাজ শুরু করে।
কিন্তু গতকাল শুক্রবার দত্তপুকুর সংলগ্ন নরশিংহপুর অঞ্চলে শুকনো গাছের পাশাপাশি বিপুল পরিমানে জীবিত গাছের মোটা মোটা ডাল কাটা হয়। কিন্তু কেনো,কিসের স্বার্থে কাটা হলো এই মোটা ডালগুলো আজ শনিবার সকাল অব্দি কোন সদুত্তর মেলেনি।
তবে যশোর রোডের গাছ বাচাও কমিটির সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বলে, ‘আমরা রীতিমতো ক্ষুব্ধ, আমরা সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার কথা ভেবে বনদপ্তরকে শুকনো ডাল কাটার কথা বলি, সেই সুযোগ নেই গাছ মাফিয়ারা। আমরা আজ দত্তপুকুর থানায় এই ব্যাপার নিয়ে বিক্ষোভ প্রতিবাদ জানিয়ে ডেপুটেশন জমা দেবো। ‘ সুপ্রিম কোর্টের নিষেধাজ্ঞা থাকা স্বত্বেও কেনো এই গাছ কাটা হয়েছে সেগুলো যশোর রোডের গাছ বাঁচানোর চলমান লড়াইয়ে যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করছে সচেতন শ্রেণির একাংশ।
Comment here