প্রতিনিধি, মুক্তিযোদ্ধাঃ সিনে কেরিয়ারের শুরুতে অমিতাভ বচ্চন যে কঠিন লড়াইয়ের মুখে পড়েছিলেন, তা মোটামুটি সবারই জানা। অমিতাভের প্রথম বেশ কয়েকটি ছবিই ফ্লপ হয়। তারপর ১৯৭১ সালে রাজেশ খান্নার সঙ্গে জুটি বেঁধে প্রথম হিট ছবি দেন অমিতাভ। ছবির নাম আনন্দ। এরপর বহু ছবিতেই রাজেশ ও অমিতাভ একসঙ্গে অভিনয় করেছেন। তবে ‘নমক হারাম’ ছবির শুটিংয়ে এমন কাণ্ড ঘটেছিল রাজেশ ও অমিতাভের মধ্যে যা কিনা শোরগোল ফেলে দিয়েছিল বলিউডে।
এমনকী, বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল নমক হারাম ছবির শুটিংও।
সালটা ১৯৭২। তার ঠিক এক বছর পরেই মুক্তি পায় নমক হারাম। ছবি বক্স অফিসে দারুণ হিট করেছিল। তবে এই ছবির শুটিং ফ্লোরেই এমন কাণ্ড ঘটেছিল, যার ফলে রাজেশ ও অমিতাভের মধ্যে ঠান্ডা লড়াই শুরু হয়ে গিয়েছিল। আর ঠান্ডা যুদ্ধর সূত্রপাত হয় অমিতাভের এক মন্তব্য থেকেই।
সেই সময়কার এক জনপ্রিয় বিনোদনমূলক ম্য়াগাজিনের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাজেশ খান্নার বিরুদ্ধে সব প্রযোজকদের একটাই নালিশ ছিল, তিনি নাকি শুটিং ফ্লোরে রোজই দু থেকে তিন ঘণ্টা দেরিতে ঢুকতেন। অমিতাভও তা জানতেন। নমক হারাম ছবির শুটিংয়ের সময়ও রাজেশ ঠিক এমনটিই করতেন। আর একদিন ফ্লোর জুড়ে রাজেশের এই লেট লতিফ অভ্যাস নিয়ে আলোচনা শুরু হতেই অমিতাভ কাটেন ফোড়ন। টুক করেই অমিতাভ বলে ফেললেন, রাজেশ তো মাতাল! রোজ রাতে মদ্যপান করেন, তাই আসতে দেরি হয়। অমিতাভের এই কথা রাজেশ খান্নার কানে পৌঁছে দিলেন, তাঁর সেক্রেটারি। একথা জানতে পেরেই রাজেশ গেলেন চোটে। সোজা ডেকে পাঠালেন অমিতাভকে। অমিতাভও তেমনি, সেই একই কথাই ফস করে রাজেশকেও মুখের উপর ফের বলে দিলেন।
ব্যস, নমক হারাম ছবির সেটে তখন তুমুল শোরগোল। শোনা যায়, মেক আপ ভ্যান থেকে বেরিয়ে সেদিন অমিতাভকে, রাজেশ একটা কথাই বলেছিলেন, তুমি শুধুই একজন অভিনেতা। আমি সুপারস্টার! এরপর নাকি শুটিং ফ্লোর ছেড়ে গাড়িতে উঠে বাড়ি চলে যান রাজেশ খান্না। জানা যায়, পরে এমন মন্তব্যের জন্য রাজেশের কাছে ক্ষমাও চেয়েছিলেন অমিতাভ।
শুটিং ফ্লোরে রাজেশের উদ্দেশ্যে আমিতাভ মুখের ওপর বলে দিলেন “তুমি তো মাতাল”….

Comment here