প্রতিনিধি, মুক্তিযোদ্ধাঃ শনিবার ২ আগস্ট থেকে রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে সরকারের নতুন প্রকল্প ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’। রাজ্যের ৮০ হাজার বুথে সরকারি আধিকারিকরা গিয়ে সেখানকার সাধারণ মানুষের অভাব-অভিযোগ শুনে তার প্রতিকারের বন্দোবস্ত করবেন, এটাই এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য।
তবে রাজ্যেরই এক প্রান্তে সরকারের ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’ প্রকল্প নিয়ে যেন কোনও উৎসাহই নেই, ফাঁকা পড়ে রয়েছে শিবির। বাধ্য হয়ে বাড়ি-বাড়ি গিয়ে সাধারণ মানুষকে ডেকে ডেকে ক্যাম্পে আনছেন খোদ মহকুমাশাসক।
এই ছবি মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর পুরসভা এলাকার। অর্থাৎ ২ আগস্ট থেকে গোটা রাজ্যের পাশাপাশি জঙ্গিপুর পুরসভা এলাকাতেও চালু হয়েছে ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’ প্রকল্পের কাজ। এই পুর এলাকাতেই একটি শিবিরে প্রথমটায় যাচ্ছিলেন না সাধারণ মানুষ। এলাকার ছোটো-খাটো সমস্যা সমাধানের জন্যই সরকারের নতুন এই তৎপরতা। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে প্রশাসনের আধিকারিকরা রয়েছেন এই সব শিবির গুলিতে। তিনটি করে বুথ নিয়ে তৈরি হয়েছে একটি করে ক্যাম্প বা শিবির।
সাধারণ মানুষ এলাকার পানীয় জলের সমস্যা থেকে শুরু করে রাস্তার আলোর সমস্যা, সেতু বা স্কুল সংস্কারের দাবি ছাড়াও অন্যান্য যে কোনও প্রয়োজনে এই সব ক্যাম্পগুলিতে যেতে পারেন। গত কয়েকদিন ধরে সরকারি স্তরে এই ব্যাপারে প্রচারও চলেছে ঢালাও। তবে প্রথম দিনেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্ক প্রসূত নয়া এই প্রকল্প যেন মুখ থুবড়ে পড়েছে জঙ্গিপুর পুরসভা এলাকায়।
শিবির সকাল ১০টা থেকে চালু হয়ে গেলেও সাধারণ মানুষের সেখানে কোনও উৎসাহ বা উপস্থিতি প্রথম দিকে চোখেই পড়েনি। বাধ্য হয়েই তাই এলাকার পাড়ায়-পাড়ায় গিয়ে বাসিন্দাদের শিবিরে ডাকছেন খোদ মহকুমাশাসক। তাঁদের কোনও সমস্যা থাকলে সে ব্যাপারে এসে শিবিরে কথা বলতে অনুরোধ জানাচ্ছেন SDO।
দিন কয়েক আগেই নবান্নে জেলাশাসকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের নতুন এই প্রকল্প নিয়ে তিনি জেলাশাসকদের বেশ কিছু নির্দেশও দিয়েছিলেন। তাঁর সরকারের নয়া এই প্রকল্পে যেন বিন্দুমাত্র প্রশাসনিক ঢিলেমি না আসে সে ব্যাপারে বারবার জেলাশাসকদের সতর্ক করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার তাই রাজ্যের নয়া এই প্রকল্প সফল করতে কোমর বেঁধে ময়দানে নেমে পড়েছেন প্রশাসনের কর্তারা।
Comment here