পাঁচ মিনিটে লাইভ-এ আসছি’.. এই বক্তব্যই ফেসবুকে আলোড়ন ফেলে দিলেন মদনমিত্র। তবে এবার মদন মিত্রের পোস্ট ঘিরে উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর খবর। যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে বিধানসভা উপনির্বাচনের টিকিট দিয়ে ফের দলে স্বাগত জানিয়েছেন, সেই মমতার দলের বিরুদ্ধেই এবার কার্যত চাপা ক্ষোভ উগড়ে দিলেন মদন মিত্র। শনিবারের ব্লকবাস্টার লাইভ-এ মদন মিত্রের মুখে উঠে এলো একগুচ্ছ বিস্ফোরক দাবি। মদন মিত্র এদিনের লাইভে জানান, তাঁকে ২২ মাস গ্রেফতার করে রেখেছিল সিবিআই।
তার দাবি,পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের কাছ থেকে তাঁকে নিয়ে কোনও ভালো রিপোর্ট যায়নি সেই সময়। উল্লেখ্য, বাংলার মসনদে তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুতাপের সুরে মদনমিত্র দাবি করেন ‘এরকম নয় যে তৃণমূল সরকার রয়েছে বলে কোনও ভালো রিপোর্ট গেছে , আর আমায় ছেড়ে দিয়েছে..আসল সত্য হচ্ছে সেন্ট্রাল এজেন্সি ২২ মাস বাদে আদালতকে জানিয়েছিল, মদন মিত্রর বিরুদ্ধে আমাদের যা অভিযোগ ..তিনি প্রভাবশালী। ওনাকে ছাড়লে উনি প্রভাব বিস্তার করতে পারেন। মদন মিত্র এদিন ক্ষোভের সুর চড়িয়ে বলেন, আমি জানতাম যে প্যারোল আমায় নির্বাচন কমিশন দেয়নি। আমি জাহিদের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। আমায় বললেন, প্যারোল দেওয়াটা নির্বাচন কমিশনের কাজ নয়। প্যারোল দেওয়াটা রাজ্য সরকারের কাজ।
এপ্রসঙ্গে তিনি ২০১৬ সালের নির্বাচনের কথা বলেন। তিনি জানান, সেই সময়ে ভোটে দাঁড়িয়ে তিনি ৪৩ বার প্যারোলের আর্জি জানান। মদন মিত্রের অনুযোগ কামারহাটি থেকে ১৮০০ ভোটে তিনি হারতেন না যদি তাঁকে ভোট দিতে দেওয়া হত এলাকায়। প্যারোলের বিষয়ে তিনি মাওবাদী নেতা ছত্রধর মাহাতোর প্রসঙ্গ তোলেন। তিনি বলেন, ছত্রধর মাহাতো তাঁকে জানান, দেশদ্রোহিতার অবিযোগ থাকা সত্ত্বেও কুখ্যাত মাওবাদি নেতা প্যারোল পেয়েছিলেন। তবে মদন মিত্রের দাবি সেই প্যারোল টুকুও তাঁকে দেয়নি তৃণমূল সরকার। মদন মিত্র জানান, তিনি পরে জানতে পারেন, তৃণমূল সরকারের কারাদপ্তর থেকে তাঁর প্যারোলেন আবেদন ‘চেপে দেওয়া’ হয়।
মদন মিত্র জানান, সিবিআই তো আমাদের পার্টির সম্ভবত ..আমি জানি না কারা কারা বাদ আছেন..তবে সিবিআই সৌগত রায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, শুভেন্দু অধিকারী, ফিরহাদ হাকিম, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, অপরূপা পোদ্দার.. সবার বিরুদ্ধে রয়েছে। আর মদন মিত্রের দাবি ‘সিবিাইয়ের ভাষায়’ তাঁকে ‘বলির পাঁঠা’ করা হয়েছে।
Comment here