প্রতিনিধি, মুক্তিযোদ্ধাঃ পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় নৃশংস হত্যাযজ্ঞের ১১ দিন পেরিয়ে গিয়েছে। ভারতের নিরাপত্তারক্ষী বাহিনী থেকে শুরু করে বাঘা-বাঘা গোয়েন্দা সংস্থা দিনরাত পরিশ্রম করেও টিকি ছুতে পারেনি হামলাকারী জঙ্গিদের। সম্ভাব্য সব ডেরায় চিরুনি তল্লাশির পরে কার্যত হাল ছেড়ে দিয়েছেন গোয়েন্দা ও নিরাপত্তাবাহিনীর শীর্ষ কর্তারা।
তারা অনেকটাই নিশ্চিত হামলার পরেই নিরাপদে পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে ঢুকে গিয়েছে জঙ্গিরা। নীলাম উপত্যকার গোপন ডেরায় নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছে। ফলে প্রত্যাঘাত হিসাবে ওই ডেরা গুঁড়িয়ে দেওয়া ভারতের সামরিক বাহিনীর প্রধান নিশানা হয়ে দাঁড়াতে পারে।
সূ্ত্রের খবর, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নীলাম উপত্যকায় জঙ্গিদের একাধিক লঞ্চিং প্যাড রয়েছে। লঞ্চিং প্যাড হল, সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ষোকার আগে জঙ্গিদের শেষ ও নিরাপদ ঘাঁটি। ওই ঘাঁটিতেই তাদের করণীয় সম্পর্কে শেষ নির্দেশ দেয় সংগঠনের শীর্ষ নেতারা। পহেলগাঁওয়ের বৈসরনের রিসর্টে হামলাকারীরা নীলাম উপত্যকায় অবস্থিত লঞ্চিং প্যাড থেকে দক্ষিণ কাশ্মীরে প্রবেশ করেছিল বলে নিশ্চিত গোয়েন্দা আধিকারিকরা। অপারেশন শেষে অর্থাৎ নিরীহ পর্যটকদের নৃশংস খুন করার পরে যে পথে জঙ্গিরা প্রবেশ করেছিল, সেই পথেই ফিরে গিয়েছে বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা।
পহেলগাঁওয়ের হামলাকারীদের কারা সীমান্তে আশ্রয় দিয়েছিল তা খুঁজে বের করাকেই প্রধান লক্ষ্য করেছেন দুঁদে গোয়েন্দারা। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক গোয়েন্দা আধিকারিকের কথায়, ‘দীর্ঘদিন ধরেই কাশ্মীরের সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারীদের একাংশ পাক জঙ্গিদের নিরাপদে আশ্রয় দিয়ে চলেছেন। তাদের শিকড় উপড়ে না ফেলতে পারে, পাক জঙ্গিদের সীমান্ত টপকে এপারে এসে নাশকতামূলক কাজকর্ম ঠেকানো যাবে না। পাকিস্তান থেকে আসা জঙ্গিরা যে জঘন্য হত্যাকাণ্ড সংগঠিত করতে পেরেছে তার মূল কারণ তাদের কাশ্মীরের বন্ধুরা একাংশ দীর্ঘ সময় ধরে গোপনে কাজ করছিল এবং এই জঘন্য আক্রমণের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে মূল খেলোয়াড় ছিল।’ পহেলগাঁওয়ে হামলার পিছনে ইতিমধ্যেই ছয় মূলচক্রীকে চিহ্নিত করেছেন গোয়েন্দারা। তারা হল-হাশিম মুসা ওরফে সুলেইমান, আলী ভাই ওরফে তালহা ভাই, আদিল হোসেন থোকার, আদিল গুরে, আসিফ শেখ এবং সাইফুল্লা খালিদ ওরফে সাইফুল্লা কাসুরি।
গোয়েন্দাদের কাছে ‘নিশ্চিত’ খবর আছে পহেলগাঁয়ের হালাকারীরা কোথায় ডেরা…

Comment here