জেলাদেশরাজ্য

গলসিতে কাটমানি খাওয়া তৃণমূল নেতাদের দলে নেওয়ায় ক্ষোভ বাড়ছে বিজেপি কর্মীদের মধ্যে…..

গরীব মানুষের কাটমানি খাওয়া ও বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে অত্যাচার করা তৃণমূল নেতাদের অবৈধভাবে দলে নিচ্ছেন বেশ কিছু জেলা নেতা আর এভাবে দলকে না জানিয়ে এবং এলাকার বিজেপি কর্মীদের অন্ধকারে রেখে চোরেদের দলে নিলে বিজেপির এতদিনের কর্মীরা তবে আগামী দিনগুলি কাদের বিরুদ্ধে লড়াই করবেন” গলসি ২নং ব্লকে বেশকিছু বিজেপি নেতা ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন নিজের নিজের জেলা নেতাদের কাছে । হতাশ গলায় এইসব ব্লক স্তরের বিজেপি নেতারা বলছেন দলের রাজ্য নেতৃত্ব বলছেন নিচুতলার সমত্তি থাকলে তবেই সেই সব এলাকার তৃণমূল নেতাদের দলে নেওয়া হবে কিন্তু ব্লক স্তরের নেতাদের আদৌ জানানোই হচ্ছে না এবং জেলায় গিয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতারা বিজেপিতে যোগ দিয়ে দিচ্ছেন ।
২৫ জুন এভাবেই গলসি ২নং ব্লকের জেড পি ১ এ বেশ কিছু দুর্নীতিবাজ তৃণমূল নেতাকে ব্লকের নেতাদের অন্ধকারে রেখে বিজেপিতে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপির একাংশের ।
বর্ধমানের জেলা নেতাদের একাংশ অবশ্য বলছেন বেশ কিছু বিজেপি নেতা তাদের নিজেদের পদ চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বলেই এরকম মিথ্যা প্রচার করছেন দলের বিরুদ্ধে ।
গলসি ২নং ব্লকের সভাপতি কালিকারঞ্জন চট্টোপাধ্যায় বলেন তার কাছে নিচুতলার কর্মীদের একাংশ অভিযোগ করছেন তৃণমূলের বেশ কিছু নেতা যারা কাটমানি খেয়েছে এবং টাকা ফেরত দেওয়ার ভয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছে এবং দিচ্ছে । এই বিজেপি ব্লক সভাপতি বলেন তিনি নিচুতলার কর্মীদের বলেছেন তাদের অভিযোগ লিখিতভাবে দিতে যা তিনি জেলা সভাপতি এবং রাজ্য সভাপতির কাছে পাঠিয়ে দেবেন ।
গলসি ২নং ব্লক শুধু নয় পুর্ব বর্ধমান জেলায় বিজেপির ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি গোষ্ঠী গড়ে উঠেছে বলে অভিযোগ বিজেপির অঞ্চল স্তরের নেতাদের একাংশের ।
পুর্ব বর্ধমানের জেলা স্তরের এক নেতার কথায় স্থানীয়বিজেপি নেতারা জেলা বা রাজ্য নেতৃত্বকে না জানিয়েই নিজেদের গোষ্ঠীকে ভারি করতে প্রচুর সঙ্খ্যক সিপিএম কর্মী এবং তৃণমূলনেতাদের দলে নিয়ে নিচ্ছেন এবং এরাই এলাকায় তান্ডব শুরু করে দিচ্ছে আর খারাপ প্রভাব পড়ছে সাধারন মানুষের মনের মধ্যে ।
পুর্ববর্ধমান জেলা সভাপতি সন্দীপ নন্দী বলেন দলের নির্দেশ ছাড়া কোন সিপিএম বা তৃণমূল নেতাকে দলে যাবে না এবং হচ্ছেও না ।

Comment here