উজ্জ্বল ভট্টাচার্য, শিলিগুড়ি, ইং ২৭শে জুলাই ,২০১৯: কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা দপ্তরের কর্মীরা শিলিগুড়ি এবং কোলকাতা থেকে সোনা পাচারের অভিযোগে এক মহিলা সহ মোট ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে । ধৃতদের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে প্রায় ১২.৫ কিলোগ্রাম । জানা গেছে যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৪.৪কোটি টাকা, ধৃত ৭ জনের মধ্যে এক মহিলা সহ ৪ জনকে শনিবার শিলিগুড়ি আদালতে তোলা হয় ।
এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা দপ্তরে সুত্রে জানা যায়, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা দপ্তরের স্থানীয় কর্মীরা শিলিগুড়ির নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে হাওড়াগামী ট্রেনের থেকে এক মহিলা সহ ৪ জনকে আটক করে । ধৃতদের আটক করে, তল্লাশি চালিয়ে ৫.৯৭৬ গ্রাম সোনা উদ্ধার করা হয়েছে । ধৃতরা এই সোনা সহ আসামের গুয়াহাটি থেকে হাওড়া গামী সরাইঘাট ট্রেনে করে ঐ সোনা পাচারের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল । ধৃতদের কাছ থেকে তল্লাশি চালিয়ে ওই সোনা উদ্ধার করে কেন্দ্রীয় রাজস্ব শুল্ক দফতরের গোয়েন্দারা। ধৃতদের মধ্যে একজন মহিলাও রয়েছেন। ধৃতদের নাম বাপি বৈরাগী, নিউটন বৈরাগী, অসীম সিং এবং ধৃত মহিলার নাম কুমকুম সিং । ধৃতদের মধ্যে প্রথম দুইজনের বাড়ি কলকাতার কাছে উত্তর ২৪ পরাগনার হাবরা থানার অন্তর্গত আনখোলা এলাকায় । এবং অপর দুইজনের বাড়ি কলকাতার দমদম থানার অন্তর্গত ঠাকুরপুকুরের মানিকপুর এলাকায় । অসীম সিং এবং কুমকুম সিং সম্পর্কে স্বামী- স্ত্রী । ধৃতদের গ্রেফতার করে শনিবার শিলিগুড়ি আদালতে তোলা হয়।
কেন্দ্রীয় রাজস্ব শুল্ক দফতর সূত্রে আরও জানা গেছে , অপরদিকে প্রথমে শুক্রবার কলকাতায় ৩ জনকে সোনা পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঐ পাঁচ জনকে কলকাতার কৈখালি এলাকার ভি আই পি রোডে একটি বাসের থেকে আটক করা হয়, তাদের থেকে প্রায় ৬ কিলোগ্রাম সোনা উদ্ধার করা হয়েছে । ধৃতদের নাম সুজিত রক্সিত, সৈকত রক্সিত এবং মিলন স্বর্ণকার । ধৃতদের সোনা পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় ।
ধৃত এই ৩ জনকে শুক্রবার কলকাতায় আদালতে তোলা হয়েছিল।
কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা দপ্তরের কর্মীরা ধৃতদের জিজ্ঞাসা বাদ করে জানতে পেরেছেন ধৃতরা বাংলাদেশ থেকে ভারত- বাংলাদেশের বনগাঁ সীমান্ত এলাকা দিয়ে কলকাতায় জনৈক এক ব্যক্তিকে সোনা পাচার করছিল । শিলিগুড়ি এবং কোলকাতা থেকে মোট সাতজনকে গ্রেফতার করেছে এবং তাদের থেকে প্রায় মোট ১২.৫ কিলোগ্রাম সোনা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে । বাজেয়াপ্ত সোনার মূল্য আনুমানিক প্রায় ৪.৪ কোটি টাকা ।
ধৃতদের জিজ্ঞাসা বাদ করে এ বিষয়ে আরও কেউ জড়িত কিনা তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং এ বিষয়ে তদন্ত চলছে ।
Comment here