জেলাদেশরাজ্য

কুখ্যাত ‘আয়নাঘর’ নিয়ে হাসিনাকে ফাঁসাতে গিয়ে নিজেই ফেঁসে গেলেন মোল্লা ইউনূস

প্রতিনিধি, মুক্তিযোদ্ধাঃ শেখ হাসিনাকে খুনি প্রতিপন্ন করতে গতকাল বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সেজেগুজে হিযবুত তাহরীর জঙ্গি ও পাকিস্তানি দালাল সাংবাদিকদের নিয়ে কুখ্যাত আয়নাঘর পরিদর্শন করেছিলেন মোল্লা মুহাম্মদ ইউনূস। দালাল সাংবাদিকদের সাহায্যে সেই ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে দিয়েছিলেন সংবাদ ও সমাজমাধ্যমে।
কিন্তু ওই অপকর্ম করতে গিয়েই ফেঁসে গেলেন পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের পোষ্যভৃত্য। কেননা, আয়নাঘরে বন্দি থাকা নির্যাতিতারাই বলছেন, মোল্লা ইউনূস যে আয়নাঘর পরিদর্শন করেছেন তা আসল নয়। গত ছয় মাস ধরে ওই আয়নাঘর সাজিয়ে দেশবাসীকে বোকা বানিয়েছেন। সাজানো আয়নাঘর পরিদর্শন নিয়ে অবশ্য মোল্লা ইউনূসের বাক-সর্বস্ব প্রেস সচিব তথা হিযবুত নেতা শফিকুল আলম অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে রয়েছে রাজি হননি।
শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকাকালীন সেনা গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইয়ের আধিকারিকরা বিরোধীদের গ্রেফতার করে কুখ্যাত ‘আয়নাঘর’-এ আটকে রেখে মাসের পর মাস নির্যাতন চালাতেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। এক জার্মান সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিক প্রথম ওই কুখ্যাত ‘আয়নাঘর’ -এর কথা প্রকাশ্যে আনেন। গত ৫ অগস্ট সেনা বিদ্রোহের মুখে বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশ ছেড়ে পালানোর পরে ওই আয়নাঘর নিয়ে একাধিক নির্যাতিতা মুখ খুলতে থাকেন। গোটা বিশ্বের কাছে শেখ হাসিনা সরকারের কীর্তি তুলে ধরার জন্য মোল্লা ইউনূসের কাছে আয়নাঘর পরিদর্শনের দাবিও জানান তারা। শেষ পর্যন্ত বুধবার সপারিষদ ওই আয়নাঘর পরিদর্শন করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। সেই সঙ্গে একটি ভাঙা চেয়ারের ছবি দেখিয়ে বলা হয়, ওই চেয়ারে বসিয়ে রেখেই নাকি আটকদের বৈদ্যুতিক শক দেওয়া হত। ওই গল্প টাকা খাইয়ে সাংবাদিকদের দিয়ে প্রচারেরও নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু তা করতে গিয়েই ফেঁসে গেলেন মোল্লা ইউনূস ও তার সঙ্গী হিযবুত জঙ্গি নাহিদ ইসলাম-আসিফ মাহমুদ ও আসিফ নজরুলরা। কেননা, নির্যাতিতরাই সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে ওই আয়নাঘর আসল নয় বলে দাবি করেছেন। মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী এবং আইএসআইয়ের এজেন্ট হিসাবে পরিচিত নিউইয়র্ক প্রবাসি আনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ইলিয়াস হোসেন ফেসবুক স্ট্যাটাসে দাবি করেছেন, আয়নাঘর পরিদর্শনের নামে জাতিকে বোকা বানানো হয়েছে। যে আয়নাঘর পরিদর্শন করেছেন মোল্লা ইউনূস, তা আসল আয়নাঘর নয়। আফজাল বিন আকরাম হোসেন নামে একজন ডিজিএফআইয়ের আয়নাঘরে বন্দি ছিলেন। তিনি লিখেছেন, ‘সরি,আমাদের দেখা আয়নাঘর এতোটাও আলিশান নয়। আমরা সেখানে মাথা বাথরুমে দিয়ে কোনও মতে একটা মাত্র নোংরা কম্বল দিয়ে শুয়ে থাকতাম। মাথা নিচে দিলে পা বাথরুমের কমোডে চলে যেতো..। মেহেদী হাসান মুরাদ নামে আর এক নির্যাতিতা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘ইউনূসের পরিদর্শন করা আয়নাঘর সাজানো। আসল আয়নাঘরের সঙ্গে কোনও মিল নেই।’

Comment here