প্রতিনিধি, মুক্তিযোদ্ধাঃ নববর্ষের সকালে কলকাতা থেকে জেলা বিরাট তল্লাশি অভিযান ইডির। বেকবাগান, বিরাটি, গেদে সীমান্তে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের সন্ধানে ইডির অভিযান। তল্লাশি অভিযানে ইডির ৮০ জন অফিসার। এর আগে জাল পাসপোর্ট কাণ্ডে একাধিক ব্যক্তির নাম তদন্তে উঠে আসে। সেই সূত্র ধরেই সকাল থেকে তল্লাশি অভিযান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকদের।
ইডি সূত্রে খবর, ভুয়ো বাংলাদেশি, যারা অবৈধভাবে নথি তৈরি করে রাজ্যে বাস করছেন তাদের ধরতেই আজকের এই অভিযান।
সুপ্রিম রায়ে চাকরিহারা প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী। শীর্ষ আদালতের রায়ের পরই রাজপথে নেমে প্রতিবাদে সামিল চাকরিহারাদের একটা বড় অংশ। এবার আন্দোলনের ঝাঁঝ কলকাতা থেকে দিল্লির বুকে ছড়িয়ে দিতে চলেছেন তাঁরা। ইতিমধ্যে ৬৫ জনের একটি দল দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। এপ্রসঙ্গে যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মী ২০১৬ ঐক্যমঞ্চ’-এর তরফে চিন্ময় মণ্ডল বলেন, ‘আমরা ১৬ এপ্রিল একদিনের জন্য যন্তর মন্তরে অবস্থান ধর্মঘটে অংশগ্রহণ করব। পাশাপাশি আমরা ভারতের রাষ্ট্রপতির কাছে আমাদের বিষয়টি নিয়ে আবেদন জানানোর জন্য ওনার কাছ থেকে সময় চাওয়ার চেষ্টা করব।” এদিকে যোগ্য চাকরিহারাদের পাশে থাকার বার্তা আরজি করে নির্যাতিতা তরুণী চিকিৎসকের পরিবারের। পাশে থাকার বার্তা দিয়ে নির্যাতিতার মা বলেন, আমার মেয়ে দুর্নীতির শিকার। মেধা থাকা সত্ত্বেও যাঁরা রাস্তায় রয়েছেন, তাঁরাও দুর্নীতির শিকার হয়েছেন। আমার মেয়ে আর ফিরে আসবে না। কিন্তু, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমরা সবসময় রাস্তায় থাকব।” আগামী ২১ এপ্রিল নবান্ন অভিযানে চাকরিহারাদের মিছিলে পাশে থাকার বার্তা নির্যাতিতার বাবার।
ওয়াকফ সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে উত্তাল বাংলা।ফের নতুন করে অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে মুর্শিদাবাদে সামসেরগঞ্জে। জাফরাবাদ এলাকায় হঠাৎই দুষ্কৃতীরা পুলিশ ও টহলরত কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের ঘিরে ফেলে। তুমুল উত্তেজনা তৈরি হয় এলাকায়। শেষমেষ বিশাল বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। এদিকে অশান্তি আবহে বড় বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর। তিনি বলেন, “প্রতিটি জাতি ও ধর্মের প্রতিবাদ করার অধিকার আছে, কিন্তু আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। “কিছু লোক আপনাদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে, তাদের কথায় কান দেবেন না”।
‘পুলিশ শাসক দলের কর্মীদের মতো আচরণ করছে’, মুর্শিদাবাদ হিংসায় রাজ্যকে তুলোধনা করে রাষ্ট্রপতি শাসনের অধীনে ২৬-এর নির্বাচনের দাবি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। তিনি অভিযোগ করেন, মুর্শিদাবাদে আইনশৃঙ্খলা সম্পূর্ণরূপে ভেঙে পড়েছে। সুতি, ধুলিয়ান, জঙ্গিপুর এবং সামশেরগঞ্জে রাজ্য সরকার সাধারণ নাগরিকদের সুরক্ষা এবং শান্তি বজায় রাখতে পুরোপুরি ব্যর্থ। বিজেপি নেতার আরও দাবি , উন্মত্ত জনতা যখন ভাঙচুর ও তাণ্ডব চালাচ্ছিল, তখন পুলিশের ভূমিকা ছিল নীরব দর্শকের মত। সংবাদমাধ্যমের সাথে কথা বলতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, যেখানেই হিন্দুরা সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছে, তাদের ভোটদান থেকে বিরত রাখা হয়েছে। পুলিশ ক্ষমতাসীন দলের কর্মীদের মতো আচরণ করছে’। রাষ্ট্রপতি শাসনের অধীনে আগামী বছর বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের দাবিও জানিয়েছেন তিনি।
কলকাতা থেকে জেলা ইডির দুরন্ত অভিযান শুরু হলো নববর্ষের সকালেই….

Comment here