জেলাদেশরাজ্য

অভূতপূর্ব দৃশ্য! চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রাস্তায় কুণাল, করলেন পুলিশের সঙ্গে বচসা

প্রতিনিধি, মুক্তিযোদ্ধাঃ এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের নিয়ে ধর্মতলায় মিছিলে কুণাল ঘোষ। পুলিশ সেই মিছিল আটকাতেই বেঁধে যায় ধস্তাধস্তিকাণ্ড। রাস্তায় বসে পড়েন কুণাল ঘোষ। বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তিনি। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন চাকরিপ্রার্থীরা।
আন্দোলনকারীরা প্রত্যেকেই ২০১৬ সালের এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থী।
তাঁদের শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলার শুনানি ছিল। তাঁরা আশা করেছিলেন, এদিন তাঁরা কোনও আশার আলো দেখতে পারবেন। এদিন তাঁরা ভেবেছিলেন কোনও রায় দিতে পারেন বিচারপতি। কিন্তু মামলার শুনানি পিছিয়ে যায় আরও। আগামী ২০ মার্চ ফের এই মামলার শুনানি।
এতদিন ধরে অপেক্ষা করতে করতে ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙে চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁরা হতাশ হয়ে পড়েন। দালত থেকে সরসারি তাঁরা কুণাল ঘোষের দফতরে চলে যান। এরপরই কুণালের নেতৃত্বে ধর্মতলায় দ্রুত বিচারের দাবিতে পথে নামেন। সেই মিছিল রানি রাসমনি রোডে পৌঁছতেই পুলিশ আটকে দেয়। প্রাথমিকভাবে পুলিশের সঙ্গে কথা কাটাকাটি, তারপর রাস্তার মাঝে বসেই বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। তাঁরা এই মামলায় প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপ দাবি করছেন।
এক আন্দোলনকারী বলেন, “আমরা এসএলএসটি, শারীর শিক্ষা, কর্মশিক্ষার চাকরিপ্রার্থীরা ২৬ মাস ধরে রেকমেনডেশন পাওয়ার পরও পথে পথে ঘুরে বেড়াচ্ছি।”
কুণাল ঘোষ বলেন, “এঁদের প্যানেলটা পুরোই বৈধ প্যানেল। এখানে কোনও দুর্নীতি নেই। সিবিআই নেই। রাজ্য সরকার নিয়োগ দিয়েছে। মোট ১২৮০ জন, তাঁদের মধ্যে এক জনের মৃত্যু হয়েছে, অর্থাৎ ১২৭৯ জন। প্রত্যেকে যোগ্য। বেআইনি স্টে করিয়ে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য নিয়োগ আটকে রেখেছেন।” হাইকোর্টের এক বিচারপতির নাম করেও কুণাল বলেন, ” ওই বিচারপতি তারিখ পে তারিখ দিয়ে যাচ্ছেন। কখনও বলছেন রাজ্য সরকার হলফনামা দিক, তা দেওয়া হচ্ছে, কখনও এজিকে গিয়েছেন, তিনি গিয়েছেন। কিছু না কিছু নিয়োগ আটকে রেখেছেন। আমি গত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে ওঁদের সঙ্গে যুক্ত। মুখ্যমন্ত্রী নিয়োগের ব্যবস্থা করে দিয়েছে। আদালতে হেনস্থা হতে হচ্ছে। প্রচুর টাকা যাচ্ছে। অবিলম্বে প্রধান বিচারপতিকে হস্তক্ষেপ করতে হবে। এত লম্বা লম্বা তারিখ দিয়ে হেনস্থা করা চলবে না।”
প্রসঙ্গত, এর আগেও ধর্মতলায় চাকরিপ্রার্থীদের ধরনা মঞ্চে দেখা গিয়েছে কুণাল ঘোষকে। চাকরিপ্রার্থীদের প্রতিনিধিরা কুণালের সঙ্গে তাঁদের বাড়িতেও গিয়েছেন।

Comment here