কেশপুর বাজার থেকে আটক করা হল ভারতী ঘোষের গাড়ি। তিনি নির্বাচনের কাজে ব্যবহারের জন্য গাড়ির কোনও অনুমোদন পাননি এমন অভিযোগ তুলেই তাঁর গাড়ি আটক করেছে পুলিশ। ভারতীকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেওয়ার পর গাড়িটিকে কেশপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যে ভারতীর দেহরক্ষীর গুলিতে এক তৃণমূল কর্মীর জখম হওয়ার খবরে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ভারতীকে গ্রেফতারের দাবীতে কেশপুর বাজারে জড়ো হয় হাজার হাজার এলাকাবাসী।
তাঁদের সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে পুলিশকে। উত্তেজিত এলাকাবাসীরা পুলিশকে লক্ষ করে ব্যাপক ইটবৃষ্টি শুরু করে। এই মুহূর্তে কেশপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী, কমব্যাট ফোর্স কাঁদানে গ্যাসের শেল, লাঠি, বন্দুক নিয়ে বিক্ষোভ কারীদের তাড়া করছে।
অন্যদিকে ভারতী ঘোষ এই মুহূর্তে কেশপুর থানার কাছের একটি মন্দিরে আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি সাফ জানিয়েছেন, নিয়ম মেনেই তিনি অনুমোদন চেয়েছিলেন। তাঁকে নাও করা হয়নি, আবার হ্যাঁও বলা হয়নি। ভারতীর দাবী, তাঁর হোয়াটসঅ্যাপে অনুমোদনের কথা বলে ম্যাসেজ দেওয়া হয়েছিল। পরে সেটি ডিলিট করে দেওয়া হয়েছে।
যদিও ঘটনাস্থলে উপস্থিত ম্যাজিস্ট্রেট অর্থাৎ বিডিও অফিসার ভারতীকে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি অনুমোদনের কাগজ দেখাতে পারলেই তাঁর গাড়ি ছাড়া হবে। নতুবা গাড়িটি থানায় আটক থাকবে। এই নিয়ে ভারতীর সঙ্গে বাগবিতন্ডা হয় ওই আধিকারীকের।
Comment here