দিদিকে বলে সুরাহা পেলেন বৈদ্যবাটির এক বাসিন্দা ।২০১৪ সালে ফ্ল্যাট কেনার জন দু’লক্ষ টাকা অগ্রিম দিয়েছিলেন স্থানীয় এক প্রোমোটারকে।ছয় মাসের মধ্যে ফ্ল্যাট দেওয়ার কথা ছিল, বছর ঘুরে গেলেও ফ্ল্যাট পাননি সত্যনারায়ন দাস। অবসরের পর বৈদ্যবাটির চক্ গোয়ালা পাড়ায় থাকতেন।তার দুই ছেলে পরিবার নিয়ে বাইরে থাকেন।বাড়িতে সত্যনারায়ন বাবু আর তার স্ত্রী থাকতেন।সেই বাড়ি বিক্রি করে ফ্ল্যাট কেনার জন্য অগ্রিম দিয়য়েছিলেন ।তিন বছর হয়ে গেলেও ফ্ল্যাট না পেয়ে ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি।জেলা ক্রেতা সুরক্ষা আদালত ক্ষতিপূরন সহ তার টাকা ফেরত দিতে বলে।কিন্তু প্রমোটার মনমোহন চ্যাটার্জী ক্ষতিপূরন না দিয়ে রাজ্য ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে যান।টাকাতো ফেরত পাননি উল্টে ২০১৪ সাল থেকে হয়রান হতে হয়েছে সত্যনারায়ন বাবুকে।কি করবেন ভেবে পাচ্ছেন না।তখনই জানতে পারেন দিদিকে বলোর কথা।অভিযোগ জানান চন্দননগর কমিশনারেটেও।সাধারন মানুষের সমস্যা সমাধানে দিদিকে বলো শুরু করেছে তৃনমূল।অভিযোগ বা পরামর্শ জানাতে মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে গ্রীভেন্স সেল চালু করেন,চন্দননগর কমিশনারেটও প্রবীনদের জন্য স্পর্শ চালু করে।গত মাসের ২৯ তারিখ অভিযোগ জানান সত্যনারায়ন বাবু।পাঁচ দিনের মধ্যে চন্দননগর কমিশনারেট থেকে দুজন অফিসার তার কাছে যান।কি হয়েছিল শোনেন।প্রোমোটারের সঙ্গেও কথা বলেন তারা।প্রমোটার জানায় ফ্ল্যাটের কিছু বাড়তি কাজ করতে তার খরচ হয়েছে তাই পুরো টাকা ফেরত দিতে পারবেন না।পরে দুজনের সঙ্গে আলোচনায় সমাধান সূত্র বেরোয়।এক লক্ষ টাকা ফেরত দিতে রাজি হন প্রোমোটার।মেনে নেন সত্যনারায়ন বাবু।পরের দিনই চেক পেয়ে যান তিনি।যে টাকা ফেরত পাওয়া প্রায় অনিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল,সেই টাকা ফেরত পেয়ে সত্যনারায়ন দাস বলেন,আগেই দিদিকে বললে হতো।
Comment here