এখন থেকে আপনি যদি বাইক চালানোর সময় মোবাইল ফোন অথবা ইয়ারফোন ব্যবহার করেন বা গান শুনতে থাকেন তো আপনাকে দিতে হতে পারে জরিমানা কারণ এখন থেকে এরকম ভাবে ইয়ারফোন ব্যবহার করলে আপনাকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা দিতে হতে পারে। কেন্দ্র সরকারের এই নতুন নিয়মের উদ্দেশ্য যাতায়াত ব্যবস্থাকে সুরক্ষিত রাখা ও দুর্ঘটনা কমানো। এই বিষয়ে কলকাতা, ব্যাঙ্গালোর ও পুনের ট্রাফিক পুলিশেরা বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। ট্রাফিক পুলিশ সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে বাইক আরোহীদের প্রতি নজর রাখবে প্রতিটা গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায়।
আইন ভাঙলে অপরাধ করলে শাস্তি হবেই- লাল বাতি বা সিগন্যাল না মানা এবং হেলমেট না পরা- বর্তমানে জরিমানা ছিল ১০০ টাকা, বিলে প্রস্তাব করা হয়েছে ১০০০ টাকা আর তিন মাসের জন্য লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত করা হবে।
গতি সীমা ভাঙ্গা- বর্তমানে জরিমানা ১০০ টাকা ছিল, বিলে প্রস্তাব করা হয়েছে ছোট গাড়ির ক্ষেত্রে ১০০০ টাকা এবং মাঝারি গাড়ির জন্য ২০০০ টাকা জরিমানা।
মদ্যপান করে গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে ভীষণভাবে অপরাধ- বর্তমানে জরিমানা ছিল ২০০০ টাকা, বিলে প্রস্তাব হয়েছে ১০০০০ টাকা জরিমানা।
বিপজ্জনক ভাবে গাড়ি চালানো-
বর্তমানে জরিমানা ছিল ১০০০ টাকা, বিলে প্রস্তাব করা হয়েছে ৫০০০ টাকা জরিমানা।
মোবাইল বা হেডফোন কানে দিয়ে গাড়ি চালানো অপরাধ- বর্তমানে জরিমানা ১০০০ টাকা ছিল, বিলে প্রস্তাব করা হয়েছে জরিমানা ৫০০০ টাকা ।
লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালানো- বর্তমানে জরিমানা ছিল ৫০০ টাকা, বিলে প্রস্তাব করা হয়েছে ৫০০০ টাকা জরিমানা।
গাড়ি দিয়ে ধাক্কা মেরে পালানো অপরাধ তার জন্য ক্ষতিপূরণ- বর্তমানে ২৫০০০ টাকা জরিমানা ছিল, বিলে প্রস্তাব বেড়ে গিয়ে হয়েছে ২ থেকে ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা।
স্কুটার বা বাইকে তিন জনকে তুললে- বর্তমানে জরিমানা ছিল ১০০ টাকা, বিলে প্রস্তাব করা হয়েছে ২০০০ টাকা জরিমানা ও তিন মাসের জন্য লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত হবে।
পারমিট ছাড়া গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে- বর্তমানে জরিমানা ছিল ৫০০০ টাকা, বিলে প্রস্তাব হয়েছে জরিমানা ১০০০০ টাকা।
নাবালকের গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে- বর্তমানে কোন জরিমানা ছিল না বিলে প্রস্তাব ২৫০০০ টাকা জরিমানা ও অভিভাবক বা গাড়ির মালিকের ৩ বছরের জন্য জেল আর অভিযুক্তের নাবালক অপরাধ আইনে বিচার চলবে।
অ্যাম্বুলেন্সকে রাস্তা না ছাড়লে- এখনো পর্যন্ত কোনো জরিমানা নেই তবে বিলে প্রস্তাব করা হয়েছে ১০০০০ টাকা জরিমানা।
Comment here